ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পরিসংখ্যান সঙ্গে নেই বাংলাদেশের

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পরিসংখ্যান সঙ্গে নেই বাংলাদেশের

২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দশম দেশ হিসেবে টেস্ট যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশটিকে কখনোই হারাতে পারেনি টাইগাররা। প্রায় সব ম্যাচেই খেতে হয়েছে নাকানিচুবানি, ভারতের মাটিতে তো বটেই। তবে এবারের পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশ করে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভারতে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে মোট ১৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির সৌজন্যে দুটি ড্র বাদে প্রায় সবকটিতেই হেরেছে বেশ বাজেভাবে। এর মধ্যে ভারতের মাটিতে তিন টেস্ট খেলে তিনটিতেই হার বাংলাদেশের।

ঢাকায় নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে ভারত তোলে ৪২৯ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটের হার দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ।

ভারতের বিপক্ষে ২০০৪ সালে দেশের মাটিতে পরের সিরিজের দুই ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ।

২০০৭ সালে চট্টগ্রামে বৃষ্টির বাধায় সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন খেলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি ড্র হয়। তবে ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ইনিংস ও ২৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

২০১০ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দুই দলের পরের সিরিজটিতে প্রথম টেস্টে ১১৩ রানে ও শেষ টেস্টে ১০ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশড হয় স্বাগতিকরা।

২০১৪ সালে বৃষ্টির বাধায় ফতুল্লায় সিরিজের একমাত্র টেস্টটি হয় ড্র।

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। হায়দরাবাদে সিরিজের একমাত্র  টেস্টে তারা হারে ২০৮ রানে।

দুই বছর পর ভারতে সুযোগ আসে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলার। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ হারে ইনিংস ব্যবধানে।

সবশেষ ২০২২ সালে দেশের মাটিতে ২ ম্যাচের সিরিজেও হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ। তবে  মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।

তবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসী থাকার কথা বাংলাদেশের। মাত্রই পাকিস্তানের মাটিতে ব্যাটে-বলে স্বাগতিকদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে শান্তর দল। ব্যাটার-বোলার সবাই আছেন দারুণ ছন্দে।

রোববার দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক শান্তর মুখেও শোনা গেছে আশার বাণী। তবে আপাতত দলের প্রধান লক্ষ্য প্রতিটি ম্যাচে পঞ্চম দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত লড়াই করা।

সম্প্রতি আমরা ভালো একটা সিরিজ পার করে এসেছি। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পাঁচ দিন কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ফলটা শেষ সেশনে গিয়েই হয়। পাঁচ দিন ভালো খেললে শেষ সেশনে সুযোগ থাকে কোন দল জিতবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো পাঁচটা দিন কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটার জন্য কী পরিকল্পনা করা দরকার, সেটা।”

মন্তব্য করুন: