শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে রান দেখতে চান হার্শা ভোগলে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানের মাটিতেই তাদেরকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে আসা বাংলাদেশের ভারত সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মাঝে। এবার ভারতে আসা দলটিকে বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। তবে সিরিজে অতিথিদের ভালো করতে হলে অধিনায়ক শান্ত ও মুমিনুল হকের রান করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
আগামী বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের ভেন্যুতে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে শান্তর দল। সিরিজকে সামনে রেখে রোববার নিজ ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ দল নিয়ে কথা বলেন ভোগলে। সেখানে ভারতকে এগিয়ে রাখলেও পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়ে উজ্জীবিত টাইগারদের কাছ থেকে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখতে চান ৬৩ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার।
“ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।”
বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে সে ব্যাখ্যাও দেন ভোগলে, “দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। পাকিস্তানের ভালো ব্যাটারদের সে ভুগিয়েছে। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটাররা ভুগেছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ। সেও দেখাতে চাইবে, আমরা কেন তাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকি।”
যশপ্রীত বুমরাহ-রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের নিয়ে গড়া ভারতের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ভালো করতে হলে প্রথম চারজন ব্যাটারকে ভালো শুরু এনে দিতে হবে বলে মত দেন ভোগলে।
“প্রথম চারজনের কাছ থেকে তাদের আরও রান পেতে হবে। বিশেষ করে দু’জনের থেকে যারা অতীতে ভালো টেস্ট ম্যাচ খেলোয়াড় ছিল। একজন হলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, যে কি না ভালো খেলোয়াড় কিন্তু এখন কিছুটা রান খরায় আছে। আরেক জন হলেন মুমিনুল হক। সে দলের টেস্ট ব্যাটিংকে অনেক দিন ধরেই আগলে রেখেছে। তাই তিন ও চার নম্বরে শান্ত-মুমিনুলকে রান পেতেই হবে।”
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে নিজের বিশ্লেষণে ভোগলে বলেন, “তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটার।... ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন – মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারত সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির নির্দেশক।”
মন্তব্য করুন: