জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাংলাদেশ

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাংলাদেশ

ভারতের টপ-অর্ডার ধসিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। পরের সেশনে তার সঙ্গে উইকেট শিকারে যোগ দেন নাহিদ রানা মেহেদী হাসান মিরাজও। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা রবীচন্দ্রন অশ্বিন। এই দুই ব্যাটারের দুর্দান্ত জুটিতে উইকেটে ৩৩৯ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা।

১০২ রানে অশ্বিন ৮৬ রানে জাদেজা দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। সপ্তম উইকেটে এই দুই ব্যাটার গড়েছেন ১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। দিনের অধিকাংশ সময় পেসাররা বোলিংয়ে থাকায় খেলা হয়েছে মাত্র ৮০ ওভারের।

বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে ১৪৪ রানের মধ্যে উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন জাদেজা-অশ্বিন জুটি। ক্রিজে আসার পর থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে শুরু করেন এই দুই ব্যাটার। তবে তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের মাত্রা বাড়ে চা বিরতির পর।

তৃতীয় সেশনে ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল করতে আসা সাকিব আল হাসানের প্রথম দুই ওভারেই তারা তোলেন ২১ রান। থিতু হতে দেননি অন্য কোনো বোলারকেও। ৫৮ বলে ফিফটি তুলে নেন অশ্বিন। সঙ্গীর পথ দেখে অর্ধ-শতক তুলে নেন জাদেজাও।

অপর প্রান্তে নিজ গতিতে রান তুলতে থাকা অশ্বিন ১০৮ বলে ১০ চার দুই ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট শতক। তৃতীয় সেশনে এই জাদেজা-অশ্বিন জুটির ব্যাট থেকে আসে ৩২ ওভারে ১৬৩ রান। ওভার প্রতি তোলেন ৫ দশমিক ০৯ রান করে।

এর আগে মেঘলাচ্ছন্ন আকাশের নিচে এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে ৪২ বছর ২১ টেস্ট পর টস জিতে প্রথম কোনো দল হিসেবে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি হাসান। ষষ্ঠ ওভারেই তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।

পরের ওভারে আবারও আঘাত হানেন হাসান। লেগ-স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে কোনো রান না নিয়ে ফেরেন শুবমান গিল।

দশম ওভারে নিজের বিরাট কোহলিকে তুলে নিয়ে নিজের বড় শিকারটি ধরেন ২৪ বছর বয়সী হাসান। চলতি বছরে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে নামা কোহলি অফ-স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত রানে উইকেটকিপারের তালুবন্দী হন।

৩৪ রানে উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন জয়সোয়াল পান্ত। মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর পান্তকে ফিরিয়ে ৬২ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান। এরপর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন জয়সোয়াল। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধ-শতক।

দারুণ খেলতে থাকা তরুণ এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানার গতির কাছে। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে থাকা সাদমান ইসলামের কাছে। পরের ওভারেই শর্ট লেগে থাকা জাকির হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে রাহুলকে (১৬) তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপরই জাদেজা-অশ্বিনের পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ।

এদিন ১৮ ওভার বল করে ৫৮ রানে হাসানের শিকার ৪ উইকেট। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না পাওয়া সাকিব দিয়েছেন ৫০ রান।

মন্তব্য করুন: