গিল-পান্তের শতকে বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের লক্ষ্য
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিলেন শুবমান গিল ও রিশাভ পান্ত। মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর দুজনই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। এর কিছু পরই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। চেন্নাই টেস্ট জিততে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের লক্ষ্য ৫১৫ রানের।
শনিবার ৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন গিল ও পান্ত। পান্তের উইকেট হারালেও ১৩ ওভারে আরও ৮৩ রান যোগ করে ৪ উইকেটে ২৮৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এই ম্যাচ জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। একই সঙ্গে ভাঙতে হবে চতুর্থ ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। আর চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪১৩ রান। ২০০৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫২১ রানের লক্ষ্যে এই রান করেছিল স্বাগতিকরা।
এদিন বিরতির পর আগের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালাতে শুরু করেন গিল ও পান্ত। তবে এই দুই জনের মধ্যে গিল প্রথমে ফিফটি হাঁকালেও তিন অঙ্ক আগে স্পর্শ করেন পান্ত। প্রায় দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে ১২৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ব্যক্তিগত ১০৯ রানে তাকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং না মেলায় এই অফস্পিনারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন পান্ত। তবে আরও আগেই ফিরতে পারতেন তিনি। ব্যক্তিগত ৭২ রানে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন অধিনায়ক শান্ত।
চতুর্থ উইকেটে ১৬৭ রানের জুটি ভাঙার পর শতক তুলে নেন প্রথম ইনিংসে কোনো রান করা গিল। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১১৯ রানে। ১৭৬ বলের ইনিংসটি ১০ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান এই ডানহাতি ব্যাটার। অপর প্রান্তে ১৯ বলে ৪ চারে ২২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।
আগের দিন দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সোয়াল ও বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিন কোনো সুবিধাই করতে পারেনি কোনো বোলার। মিরাজের শিকার ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
মন্তব্য করুন: