বড় হারের পর ম্যাচে ইতিবাচক দিক পেয়েছেন শান্ত
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জয় দিয়ে ভারত সফর শুরু করতে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। শেষ দুই দিনে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে করতে হতো ৩৫৭ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু চতুর্থ দিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় লক্ষ্যের ধারে কাছেও যেতে পারেনি অতিথিরা। বিশাল ব্যবধানে হারার পর ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া ৫১৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় আগের দিন ৪ উইকেট হারানো দল রোববারের শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করে বাংলাদেশ। কোনো বিপদ ছাড়াই প্রথম ঘণ্টা পার করে শান্ত ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রথম ঘণ্টা পার হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পুরো ব্যাটিং-অর্ডার। ৪০ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানে। ম্যাচ হারে ২৮০ রানে।
ব্যাটাররা হতাশ করলেও ম্যাচের প্রথম দিনের শুরুর দুই সেশনে পেসারদের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“ইতিবাচক দিক হলো তাসকিন, হাসান ও নাহিদ রানা প্রথম ২-৩ ঘণ্টায় যেভাবে বোলিং করেছে তা দারুণ ছিল। এরপর আপনি যেমনটা বললেন, আমার মনে হয় তারা খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।”
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন হাসান। প্রথম দিন নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থের সঙ্গে সুইংয়ে তুলে নেন ভারতের প্রথম ৪ উইকেট। এরপর দ্বিতীয় দিন প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ভারতের মাটিতে ইনিংসে ৫ উইকেটও শিকার করেন তরুণ এই পেসার।
পুরো ম্যাচ থেকে দলের পাওনা বলতে এই পেস বোলিংই আছে জানিয়ে শান্ত বলেন, “আমার মনে হয়, পেস বোলিং অপশনটা। সবাই (পেসাররা) বল হাতে অবদান রেখেছে। গত কয়েকটি সিরিজে আমরা নতুন বলে যেভাবে বোলিং করছি তা দুর্দান্ত ছিল। তবে সেটা ধরে রাখতে হবে।”
দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও রান পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০ ইনিংস পর পান পঞ্চাশের দেখাও। দীর্ঘদিন রান খরায় থাকা শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৮২ রান।
“ব্যাটার হিসেবে এই কাজটা সবসময় করতে চাই, রান করে অবদান রাখা। নিজের ব্যাটিং উপভোগ করি।”
ম্যাচ জিততে বাংলাদেশকে ভাঙতে হতো ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪১৮ রান তাড়ার রেকর্ড। ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পরা দলের চতুর্থ দিনের পরিকল্পনা ছিল শুধু টিকে থাকার।
“আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে পারি তা করে যাওয়া। আমরা ফলের কোনো চিন্তা করছিলাম না। শুধু নিজেদের প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করে যেতে চেয়েছিলাম এবং নিজেদের সামর্থ্য মতো খেলে যেতে চেয়েছিলাম।”
আগামী শুক্রবার কানপুরে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ব্যাটারদের কাছে বাড়তি দায়িত্ব আশা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“কানপুর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটা বললাম, বোলাররা ভালো করেছে। আশা করছি, ব্যাটাররাও ভালো করবে।”
মন্তব্য করুন: