পাকিস্তান ক্রিকেটে ঐক্য ফেরাতে ‘কানেকশন ক্যাম্প’

মাঠের পারফরম্যান্সে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। সঙ্গে রয়েছে দলীয় কোন্দল। সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে দেশটি। এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচদের সঙ্গে কানেকশন ক্যাম্প বা সংযোগ ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর লক্ষ্য ছিল দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ও অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির সমাধানে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।

সোমবার এই ক্যাম্পের দিনব্যপি আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন টেস্ট দলের প্রধান কোচ জেসন গিলেস্পি এবং ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেন। সেখানে জাতীয় দলের ভেতরের মতভেদের কথা উঠে আসে। বিশেষ করে দুই অধিনায়ক শান মাসুদ ও বাবর আজমের সঙ্গে এক দল ক্রিকেটারের ভালো সম্পর্ক না থাকার বিষয়টি।

গত এক বছরে ব্যর্থতার সময় কেটেছে পাকিস্তানের। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলতে পারেনি তারা। হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে হেরে শেষ পর্যন্ত প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে তারা। সবশেষ ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হেরেছে দলটি।

দলের ভেতরের অস্থিতিশীল অবস্থার কথা গত কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে টি-টুয়েন্টির নেতৃত্বে থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তা আরও তীব্র হয়েছে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই অবস্থা দেখে বেশ অবাক হয়েছিলেন বলে জানান কারস্টেন।

ক্যাম্প শেষে পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সালমান নাসির নিশ্চিত করেন, দল ও বোর্ডের মধ্যে ঐক্যের অভাব এই আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল।

“ঐক্যের আলোচনা শুধু দলকে নিয়ে ছিল না। এটি দল ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে কীভাবে এক সঙ্গে কাজ করা যায়, সেটি নিয়েও ছিল। আমরা সমস্যা চিহ্নিত করেছি এবং কীভাবে উন্নতি করা যায় তা নিয়ে কথা বলেছি।”

তবে এই ক্যাম্পে বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হার কিংবা অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে সরাসরি আলোচনা হয়নি। কিন্তু পাকিস্তানের প্রতিভার গভীরতা দেখে ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছুর আশা প্রকাশ করেন কারস্টেন।

“আমি গত ১২ দিন ধরে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ দেখছি এবং এখানে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের গভীরতা দেখে আমি মুগ্ধ। আমি টুর্নামেন্টটি দারুণ উপভোগ করেছি। এই প্রতিযোগিতার মান বেশ উঁচু ছিল। অনেক তরুণ খেলোয়াড়কে তাদের সামর্থ্য দেখাতে পেরেছে।”

পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এই ধরনের ক্যাম্প আরও চলমান থাকবে বলে জানান টেস্ট কোচ গিলেস্পি।

“যেহেতু আমাদের দায়িত্বে আমরা নতুন তাই আমাদের কাজ হলো শোনা এবং শেখা। খেলোয়াড় হিসেবে, দল হিসেবে ও কোচ হিসেবে সে দিকটি নিয়ে কাজ করা যা আমাদের জন্য বেশি কার্যকরী হবে। … খেলোয়াড়রা ভালো করার জন্য উদগ্রীব। আমরা এই যাত্রায় এক সঙ্গে আছি এবং সেরা সাহায্য করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”