বাংলাদেশে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করা নিয়ে শঙ্কা

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করা নিয়ে শঙ্কা

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশে এসে খেলতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার কথাও উল্লেখ করেছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। কিন্তু বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য বোর্ডের নেই। ফলে দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সাকিবের অবসর নেওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। তবে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকায় দেশে ফেরা নিয়ে আছে নানারকম অনিশ্চয়তা। সেই শঙ্কা থেকেই অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর দেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি জানান।

“আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোন সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।”

কিন্তু বৃহস্পতিবার সাকিবের অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর বোর্ড সভা শেষে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক জানান, দেশে ফেরা সিদ্ধান্ত সাকিবকে নিতে হবে। এছাড়াও তার নিরাপত্তার বিষয়টি আসতে হবে সরকারের তরফ থেকে।

“এই ব্যাপারে তাকেই (সাকিব) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এটার অংশ হতে পারব না। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না। বোর্ড থেকে আমরা কী করতে পারি! একজন ব্যক্তি মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার মতো সামর্থ্য তো বোর্ডের নেই।”

“আমি তো আসলে কোনো এজেন্সি নই, পুলিশ বা র‌্যাব। এটা আসলে আমার বা বিসিবির হাতে নেই। এটা আসলে পুরোপুরি সরকারি পর্যায় থেকে আসতে হবে, নিরাপত্তার ব্যাপারটি। নিরাপত্তা দুই রকম – একটা হলো ক্লিয়ারেন্স পাওয়া, সে (সাকিব) যেরকম বলেছে। আরেকটি হলো, দর্শকদের ব্যাপারও আছে।”

বোর্ড সভায় বিসিবি পরিচালকদের সঙ্গে ফারুক আহমেদঅবশ্য টেস্টে সাকিবের বিদায়টা দেশের মাটিতে দেখতে চান জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, “সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।”

তবে বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কণ্ঠে ছিল মিরপুর থেকে সাকিবের বিদায় নিতে পারা নিয়ে শঙ্কা। দেশের ক্রিকেটে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের অবদানের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,  বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওর অবদান আমরা সবাই জানি। হয়ত অনেকে সামনাসামনি স্বীকার করি না। সবার মনের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে থেকে যাবে। কারও কাছে ইতিবাচকভাবে, কারও কাছে নেতিবাচকভাবে। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেললে, সবার ভালোবাসা নিয়ে অবসর নিলে ভালো হতো।

শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে দেশে না ফিরতে পারলে কানপুর টেস্টই হতে চলেছে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে সাকিবের বিদায়ী ম্যাচ।

আগামী মাসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।

মন্তব্য করুন: