ভারতের জয়ের চেষ্টায় গুঁড়িয়ে গেল বাংলাদেশের বোলিং
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্যাট হাতে তাণ্ডবের শুরুটা করেছিলেন যশস্বী জয়সোয়াল ও রোহিত শর্মা। সেই আগ্রাসনটা ধরে রাখলেন পরের ব্যাটাররাও। বৃষ্টিতে আড়াই দিনেরও বেশি নষ্ট হওয়ার পরও জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালিয়ে প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
সোমবার কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিন মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির পর প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩৪ ওভার ৪ বলে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। রোহিত শর্মার দল ওভার প্রতি রান তোলে ৮ দশমিক ২২ করে।
এদিন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম দলীয় ৫০, ১০০ ও ২০০ রানের রেকর্ড গড়ে ভারত।
হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদকে তুলোধুনো করে প্রথম তিন ওভারেই ৫১ রান তুলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম দলীয় ফিফটির রেকর্ড গড়েন জয়সোয়াল ও রোহিত। ৪ ওভার ২ বলে দ্রুত দলীয় ৫০ রান তোলার আগের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের।
তবে চতুর্থ ওভারে এই জুটিকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১ বলে ২৩ রান করা রোহিতকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি দেন এই স্পিনার।
এরপর শুবমান গিলকে নিয়ে বোলারদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেন জয়সোয়াল। ১০ ওভার ১ বলে এই দুই ব্যাটার পূর্ণ করেন দলীয় ১০০ রান। ভেঙে দেয় ভারতেরই গড়া ১২ ওভার ২ বলে দ্রুততম দলীয় শতরানের রেকর্ড। তার আগে ৩১ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন জয়সোয়াল।
চা বিরতির আগের ওভারে ৫১ বলে ৭২ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনারকে বোল্ড করেন হাসান। বিরতির পর বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন সাকিব আল হাসান। পরপর দুই ওভারে তুলে নেন গিল (৩৯) ও রিশাভ পান্তকে (৯)।
তবে এর আগে ইনিংসের ১৯তম ওভারে বিরাট কোহলির সহজ রান-আউটের সুযোগ হাত ছাড়া করেন খালেদ। স্টাম্পের খুব কাছে থেকেও তাতে বল লাগাতে পারেননি এই পেসার। সে সময় কোহলি ছিলেন ৪ রানে।
এরপর ২৫তম ওভারে আবার জীবন পান এই ব্যাটার। তাইজুল ইসলামের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিস করেন তিনি। সেই বল তালুবন্দী করে স্টাম্পিং করতে ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৪৭ রান করা কোহলিকে বোল্ড করেন সাকিব।
অপর প্রান্তে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন লোকেশ রাহুল। ৪৩ বলে ৬৮ রান করা এই ব্যাটারকে থামান মিরাজ।
সাকিব ও মিরাজের শিকার ৪টি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন: