দেশের কাউকে প্রধান কোচ হিসেবে যোগ্য মনে করেন না তামিম
৯ অক্টোবর ২০২৪
বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পর থেকেই আলোচনায় জাতীয় দলে প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ। বিশেষ করে নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন, দেশের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কান এই কোচের গুরুত্ব দেখেন না তিনি। তখন থেকেই গুঞ্জন, প্রধান কোচের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে দেশীয় কোনো কোচকে। তবে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার তামিম ইকবালের মতে, স্থানীয় কেউ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত নন।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজের ধারাভাষ্য দিতে বর্তমানে ভারতে আছেন তামিম। বুধবার দেশটির ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস্টারে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে দেশের ক্রিকেটের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক। সেখানেই উঠে আসে কোচের প্রসঙ্গটি।
গত এক দশকে ভারতের প্রধান কোচের হিসেবে বিদেশি কাউকে নিয়োগ দেয়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সম্প্রতি স্থায়ীভাবে শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশটির কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়াকে। বাংলাদেশও এই পথে হাঁটতে পারে কি না জানতে চাওয়া হলে তামিম জানান, দেশীয় কোচরা সর্বোচ্চ সহকারী কোচের ভূমিকায় থাকতে পারেন।
“আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।”
কোচিং স্টাফে স্থানীয় কোচ নিয়োগের বিষয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরে তামিম বলেন, “বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০:৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি এবং তার সঙ্গে আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। এটি স্থানীয় কোচদের বেড়ে উঠতে সহায়তা করবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।”
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ হিসেবে চুক্তি আছে হাথুরুসিংহের। তবে গত আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বোর্ড সভাপতি ফারুক বলে আসছেন তিনি হাথুরুসিংহেকে আর জাতীয় দলে রাখতে চান না। এমন অবস্থায় তামিমের কাছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হেড কোচ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বিসিবিকে বড় নামের কাউকে নয়, বরং পরিশ্রমী কাউকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন তামিম। এক্ষেত্রে ভারতের বর্তমান কোচিং স্টাফের উদাহরণও টানেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
“বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।”
“রায়ান টেন ডেসকাটে কি ক্রিকেটে খুব বড় নাম? তবু সে কিন্তু ভারতের কোচিং স্টাফের অংশ। আমাদের তার মতো মানুষ প্রয়োজন, যে পর্দার আড়ালে কাজ করবে। অভিষেক নায়ার কি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন? বিসিসিআই কেন তাহলে তাকে সহকারী কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছে? কারণ, দলে ভালো কিছু যোগ করার মতো সামর্থ্য তার আছে। আমি যেটা শুনেছি, সে বেশ কয়েকটি দলে অবিশ্বাস্য কাজ করেছে এবং ভারতের কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। আমাদের বড় নামের পিছু না ছুটে এমন সব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে।”
মন্তব্য করুন: