ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে উড়ে গেল বাংলাদেশ
৯ অক্টোবর ২০২৪
সিরিজে ফিরতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ভারতের দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করেছিল সফরকারীরা। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই অনেক আগেই ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৮৬ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
বুধবার দিল্লিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও রিংকু সিংয়ের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৯ উইকেটে ২২১ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৯ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের তিন স্পিনার মিলে ৮ ওভারে ৩ উইকেট শিকার করে রান দেন ১১৬। অন্যদিকে ভারতের চার স্পিনার মিলে ৯ ওভারে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে মাত্র ৪৯ রান দেন।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারে ১৪ রান তুলে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু সেই শুরু আর ধরে রাখতে পারেননি। তৃতীয় ওভারে অফ-স্টাম্পের বাইরে বল লেগ সাইডে টেনে খেলতে গিয়ে ১৬ রান করে বোল্ড হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ২০ রান।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরের প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরুণ চক্রবর্তী করার পরের ওভারে দলপতির পথ অনুসরণ করেন লিটন দাসও। বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। মূলত তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা। পরের ওভারে বোল্ড হন তাওহিদ হৃদয় (২)।
এরপর ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে মনোযোগী হন অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬), জাকের আলী (১) ও রিশাদ হোসেনের (৯) কেউই। দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে।
এর আগে বল হাতেও বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। ২৫ রানের মধ্যেই এই দুই পেসার তুলে নেন দুই ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন (১০) ও অভিষেক শর্মাকে (১৫)। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে ৮ রানের বেশি করতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান।
এরপরই তাণ্ডব শুরু করেন নিতিশ ও রিংকু। রিশাদ হোসেনের দশম ওভারে ২৪ এবং মিরাজের ১৩তম ওভারে ২৬ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। এর মাঝেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ২৭ বলে প্রথম ফিফটি তুলে নেন নিতিশ। অবশ্য এখানে অবদান আছে লিটনেরও। পঞ্চম ওভারে ৬ রানে থাকা নিতিশের সহজ ক্যাচ উইকেটের পেছনে থেকে তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৪ রান করা নিতিশকে থামান মুস্তাফিজ। এরই সঙ্গে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ৪৯ বলে ১০৮ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙলে বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন রিংকু ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৫৩ রান করা রিংকুকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন তাসকিন। রিশাদের শেষ ওভারের প্রথম বলে পান্ডিয়া ফেরেন ১৯ বলে ৩২ রান করে। রিশাদ আরও ২ উইকেট তুলে নিলে ভারতের সংগ্রহ আরও বড় হয়নি।
আগামী শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদে মুখোমুখ হবে দু'দল।
মন্তব্য করুন: