বাংলাদেশের পর ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন শোয়েব
১২ অক্টোবর ২০২৪
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে আগে ব্যাট করে ৫৫৬ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে সবশেষ ১১ টেস্টের একটিতেও জয় পায়নি তারা। এই সিরিজের আগে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে টেস্টে হারের পাশাপাশি দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে তারা। দলের এমন অবস্থায় রীতিমত ক্ষুব্ধ দেশটির সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।
মুলতান টেস্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের রান পাহাড়ের জবাবে আরও আগ্রাসী ছিল ইংলিশরা। ১৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৮২৩ রান করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। ২৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২০ রানে থামে পাকিস্তান। ম্যাচ হারে ইনিংস ও ৪৭ রানে।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে এর ইনিংসে ৫০০ বা তার বেশি রান তুলেও ইনিংস ব্যবধানে হারের বিব্রতকর রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান।
এমন হার দেখে পাকিস্তানের পিটিভি স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে দলের কঠোর সমালোচনা করে শোয়েব বলেন, “কর্মফল কাজের ওপর নির্ভর করে। দশকজুড়েই আমি অধঃপতন দেখছি। পরিস্থিতি হতাশার। হারতেই পারে; কিন্তু খেলাটা অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়া উচিত ছিল। তবে গত দুই দিনে যা দেখেছি, তারা পুরোপুরিই আশা ছেড়ে দিয়েছে। এটাই দেখিয়ে দেয় আমাদের যথেষ্ট সামর্থ্য নেই। ইংল্যান্ড আমাদের সঙ্গে ৮০০–এর বেশি করে, বাংলাদেশও হারায়।’
সব শেষ ৬ ম্যাচের সবকটিতে হারা পাকিস্তান বর্তমানে আছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি চক্রের একদম তলানিতে। ৮ ম্যাচে তাদের জয় মাত্র ২টি। এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলটির টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছে দেশটির সমর্থকরা। বিষয়টি চোখে পড়েছে শোয়েবেরও।
“সমর্থকরা বলছে, পাকিস্তানের টেস্ট খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এমন অনেক মন্তব্য আমি দেখেছি। আইসিসি ভাবছে, পাকিস্তানে দল পাঠিয়ে তাদের টেস্ট স্ট্যাটাস বাঁচিয়ে রাখা উচিত কি না। এই হার আসলে হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। এটা পাকিস্তান ক্রিকেট, সমর্থক ও আসন্ন প্রতিভার জন্য অনেক কষ্টের। আমি পিসিবিকে অনুরোধ করছি এই বিশৃঙ্খলা ঠিক করতে।”
দলের এমন বাজে অবস্থার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের দায় দেখা শোয়েব বলেন, “আপনার ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়ক দুর্বল হলে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি হবেই। অধিনায়ক স্বার্থপর হলে, গ্রুপিং হবে। এমনটাই হবে, যদি কোচরা অধিনায়ককে ভয় পায়। একাদশ নির্বাচনের সময় অধিনায়ক শেষ সিদ্ধান্ত নেয়। আমার সময় থেকে এই সংস্কৃতিই চলে আসছে।”
মন্তব্য করুন: