বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ভারতের ২৯৭
১২ অক্টোবর ২০২৪
পেসার কিংবা স্পিনার, ভারতীয় ব্যাটারদের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেল না কেউই। সাঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরি ও সূর্যকুমার যাদবের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। আর এতেই টি-টুয়েন্টি ইতিহাসে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি গড়েছে স্বাগতিকরা।
শনিবার হায়দরাবাদে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলেছে ভারত। স্বাগতিকরা ছক্কা হাঁকিয়েছে ২১টি ও চার ২৫টি।
টি-টুয়েন্টি ইতিহাসের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ৩ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে সবার ওপরে আছে নেপাল। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে খেলা ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি গড়েছে ভারত। আগের রেকর্ডটি ছিল আফগানিস্তানের। দেহরাদুনে ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৮ তুলেছিল আফগানরা।
টস হেরে বোলিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে অভিষেক শর্মাকে (৪) তুলে নেন তানজিম হাসান সাকিব। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে কেবল ওটুকুই। এরপর পালা করে বোলারদের পিটিয়ে তুলোধুনো করেছেন স্যামসন-যাদব-পান্ডিয়ারা।
দলীয় ২৩ রানে অভিষেক ফেরার পর স্যামসন ও যাদবের তাণ্ডবে পাওয়ারপ্লেতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮২ রান তোলে ভারত। রিশাদ হোসেনের করা দশম ওভারে টানা ৫ ছক্কা হাঁকান স্যামসন। এতেই প্রথম ১০ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১৫২।
৪০ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান স্যামসন। ১১১ রানে ডানহাতি এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ বলে ১৭৩ রানের জুটি। সঙ্গীর বিদায়ের পর যাদব ফেরেন ৩৫ বলে ৭৫ রান করে। এরপর চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে রিয়ান পরাগকে নিয়ে পান্ডিয়া ৭০ রান যোগ করলে তিনশ’র দিকে এগুতে থাকে ভারত। কিন্তু শেষ ওভারে পান্ডিয়া ১৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে তা আর হয়নি।
ভারতীয় ব্যাটারদের তাণ্ডবে লাইন-লেন্থ হারিয়ে ফেলা বোলাররা এদিন নো বল করেছে ৩টি। সবকটিই এসেছে তাসকিন আহমেদের কাছ থেকে। ১৯তম ওভারেই দেন দুটি নো বল। দলের তিন পেসারই বল হাতে রান দিয়েছেন পঞ্চাশের বেশি।
এদিন বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বেশ জঘন্য ছিল বাংলাদেশ। রান-আউটের দুটো সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। ১৯তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরতে গিয়ে তা ছক্কা বানিয়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম। আগের ওভারে আরেকটি ক্যাচ ছাড়েন পারভেজ হোসেন ইমন।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: