বাবর-শাহিনদের বাদ দেওয়ায় নির্বাচকদের সমর্থনে আফ্রিদি
১৫ অক্টোবর ২০২৪
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের দল ঘোষণা নিয়ে তোলপাড় চলছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর মতো তিন বড় তারকাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে তারা। তবে দেশটির ক্রিকেটের বৃহৎ স্বার্থের জন্য নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি।
গত রোববার বাবর, শাহিন ও নাসিমকে বাদ দিয়ে সিরিজের শেষ দুই টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে পাকিস্তানের নতুন নির্বাচক কমিটি। এর আগে শুক্রবার নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরই পিসিবিকে বাবরকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ফলে বড় চমক ছিল শাহিন ও নাসিমের বাদ পড়াটা।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই তিন ক্রিকেটারের বাদ পড়া প্রসঙ্গে আফ্রিদি জানান, এটি তাদের ক্যারিয়ারকে দীর্ঘ করতে আরও সহায়তা করবে।
“বাবর, শাহিন ও নাসিমকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি দেওয়ায় নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছি। এ ধরণের সিদ্ধান্ত শুধু এই চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত ও রক্ষা করতেই সাহায্য করবে না, বরং উদীয়মান প্রতিভাদেরকে দারুণ সুযোগ এনে দেবে। এটা ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল গঠনের দারুণ সুযোগ।”
Supporting the selectors’ decision to give Babar, Shaheen, and Naseem a break from international cricket. This move not only helps protect and extend the careers of these champion players but also gives a great opportunity to test and groom emerging talent, building strong bench…
— Shahid Afridi (@SAfridiOfficial) October 14, 2024
অফ-ফর্ম ও ফিটনেসজনিত কারণে বাবর, শাহিন ও নাসিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিল নির্বাচকরা। গত বছরের শুরু থেকে সাদা পোশাকে এই তিন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সও তাদের পক্ষে কথা বলছে না।
গত বছর জানুয়ারি থেকে টেস্টে ব্যাট হাতে ৯ ম্যাচে ১৮ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই বাবরের। সর্বোচ্চ রান করেছেন ৪১। এই সময়ের মধ্যে তার ব্যাটিং গড় ২১ এরও কম। ফলে গত শুক্রবার মুলতানে সিরিজের প্রথম টেস্টের পরই সাবেক এই অধিনায়ককে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল নতুন নির্বাচক কমিটি।
অন্যদিকে বল হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না শাহিনেরও। ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাঁহাতি এই পেসারের খেলা ১১ ইনিংসে উইকেট পেয়েছেন ১৭টি। সিরিজের প্রথম টেস্টে ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। সে তুলনায় একই সময়ের নাসিমের পরিসংখ্যান কিছুটা ভালো। ৯ ইনিংসে বল করে ডানহাতি এই পেসারের শিকার ১৮ উইকেট।
এই তিন ক্রিকেটারের অফ-ফর্মের প্রভাব পড়েছে দলের পারফরম্যান্সেও। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে খেলা ৯ টেস্টের ৬টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। জয় পেয়েছে কেবল দুটিতে। আর ঘরের মাঠে খেলা সবশেষ ১১ টেস্টে জয়হীন দলটি।
মন্তব্য করুন: