তরুণদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছেন সিমন্স
১৯ অক্টোবর ২০২৪
গত সপ্তাহের নাটকীয় পালাবদলের পর আপাতত পাঁচ মাসের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন ফিল সিমন্স। এত কম সময়ের জন্য হলেও টাইগারদের দায়িত্ব নিতে রাজি হওয়ার কারণটা জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সাবেক ক্রিকেটার।
গত মঙ্গলবার সাবেক হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত ঘোষণা করার দিন সিমন্সকে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
এর আগে ২০১৭ সালে হাথুরুসিংহে জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রধান কোচের পদের জন্য বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সিমন্স। কিন্তু সেবার এই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্টিভ রোডসকে। এরপর ২০১৯ সালে এই ইংলিশ কোচের বিদায়ের পর আবারও আবেদন করেছিলেন সিমন্স। তবে তখন এই দায়িত্ব পান রাসেল ডোমিঙ্গো।
শনিবার জাতীয় দলের কোচ হিসেবে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স জানান, মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে বিসিবির কাছ থেকে প্রস্তাব পান তিনি। নতুন দায়িত্বে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে চলমান অস্থির সময়কে পেছনে ফেলে মাঠের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চান তিনি।
“ভালো দিক হচ্ছে, আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।… আমরা সামনের কয়েকটা টেস্ট জিততে পারলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা জাগবে।”
“আমি ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চাই। সোমবারের জন্য দলটাকে তৈরি করতে চাই। আমার গত দুই দিনের অভিজ্ঞতা দারুণ। আমরা ক্রিকেটের আশপাশে যে সব দোটানা আছে, তা সরিয়ে সোমবারে মনোযোগ দিতে চাই।”
বাংলাদেশের কোচ হওয়ার আগে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউ গিনি ও দু’দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দায়িত্ব পালন করেন সিমন্স। এবার দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের সব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজে লাগাতে চান তিনি।
“সব অভিজ্ঞতাই আমাকে ছেলেদের সোমবারের জন্য তৈরি করতে সাহায্য করবে। আফগানিস্তান আমাকে ভাষা জটিলতার চ্যালেঞ্জ সামলে কাজ করা শিখিয়েছে। আয়ারল্যান্ডে কাজ করে বুঝেছি কীভাবে তরুণদের গড়ে তুলতে হয়। সব কিছুই এখানে কাজে দেবে।”
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সময়ের টেস্ট দলের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সিমন্সের। সেটিই তাকে বাংলাদেশের কোচ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।
“আমি আগ্রহী হয়েছি তরুণ খেলোয়াড়ের সামর্থ্য দেখে। ওরা পাকিস্তানে নিজেদের দারুণভাবে প্রমাণ করেছে। ভারতে টি-টোয়েন্টিতে ওরা ভালো খেলেনি। কিন্তু ভারত ওই সংস্করণে সেরা দল। আপনার সেখান থেকে শেখার ছিল অনেক কিছু। প্রথমত, আমি তরুণদের গড়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি এখানে টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণে কাজ করার সুযোগও আছে। সব মিলিয়ে আমার এখানে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল না।”
“কঠোর পরিশ্রম করলে ফল আসবে। গত দুই দিনে ছেলেদের মধ্যে সেটা দেখেছি। এই ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে, দক্ষতা ও ফিটনেস নিয়ে।”
মন্তব্য করুন: