সরফারাজ-পান্তের লড়াইয়ের পরও হারের শঙ্কায় ভারত
১৯ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ জবাব দিচ্ছিল ভারত। নিউ জিল্যান্ড বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে দলকে ভালো অবস্থানেই নিয়ে গিয়েছিলেন সরফারাজ খান ও রিশাভ পান্ত। কিন্তু এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল স্বাগতিক ব্যাটিং-অর্ডার। ৪৬২ রানে অলআউট হয়ে প্রথম টেস্টে হারের শঙ্কায় পড়েছে রোহিত শর্মার দল।
শনিবার বেঙ্গালুরু টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ দিন চতুর্থ উইকেটে সরফারাজ ও পান্তের ১৭৭ রানের জুটিতে লিড নেয় ভারত। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সরফারাজ ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন পান্ত। কিন্তু ৯৯ রান করে এই উইকেটকিপার-ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে আর বেশিক্ষণ টেকেনি স্বাগতিকরা। ২৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তারা ১০৬ রানের লিড পায়।
লক্ষ্য তাড়ায় কিউইরা ৪ বল খেলার পর আলোকস্বল্পতার কারণে আগেভাগেই দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়াররা।
আগের দিনের শেষ বলে বিরাট কোহলি ৭০ রানে আউট হলে ৩ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে শনিবারের খেলা শুরু করেন সরফারাজ ও পান্ত। এই দুই ব্যাটারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধাই করতে পারেনি প্রথম ইনিংসে আগুন ঝরানো কিউই পেসাররা।
প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরা সরফারাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিজে আসার পর থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। ৭০ রানে দিনের খেলা শুরু করা ডানহাতি এই ব্যাটার ১১০ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। অপর প্রান্তে সমান তালে রান তোলা পান্ত ফিফটির দেখা পান ৫৫ বলে।
এরপর বৃষ্টির বাধায় আগেভাগেই ৩ উইকেটে ৩৪৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যায় ভারত। বিরতির পরও আগ্রাসী ব্যাটিং ধরে রাখেন সরফারাজ ও পান্ত। তবে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নেওয়ার পর থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে টানতে শুরু করে কিউইরা। ১৯৫ বলে ১৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫০ রান করা সরফারাজকে ফিরিয়ে যার শুরুটা করেন টিম সাউদি।
তবে সঙ্গী ফিরলেও স্বভাবসূলভ ব্যাটিং করতে থাকা পান্ত এগুতে থাকেন নিজের সপ্তম শতকের দিকে। কিন্তু তিন অঙ্ক ছোঁয়ার এক রান আগে তাকে বোল্ড করেন উইলিয়াম ও’রোর্ক। ক্যারিয়ারে এই নিয়ে সপ্তমবার ৯০-এর ঘরে আউট হলেন পান্ত।
এরপর আর কোনো ব্যাটার প্রতিরোধ গড়তে না পারায় দ্রুতই অলআউট হয় ভারত। দ্বিতীয় নতুন বলে ১৯ ওভার ৩ বোলিং করে ৬২ রান দিয়ে স্বাগতিকদের শেষ ৭ উইকেট তুলে নেয় নিউ জিল্যান্ড।
এই ম্যাচ জিততে পারলে ১৩৭ বছরের পুরোনো স্মৃতি আবার ফেরাবে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চাশের নিচে অলআউট হয়েও জয়ের নজির আছে কেবল একবার। ১৮৮৭ সালে ৪৫ রানে অলআউট হয়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।
মন্তব্য করুন: