১০৬ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
২১ অক্টোবর ২০২৪
স্পিনিং কন্ডিশনকে মাথায় রেখে মাত্র এক পেসার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে স্বাগতিক ব্যাটিং অর্ডার। ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই প্রোটিয়া পেসার উইয়ান মুল্ডার ও কাগিসো রাবাদার তাণ্ডবে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশের ইনিংসের স্থায়ীত্ব ছিল ৪০ ওভার ১ বল।
৯৭ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি আসে নবম উইকেটে। এটি গড়েন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
৬ উইকেটে ৬০ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ বিরতির পরই হারায় জয়ের উইকেট। ড্যান পিটের বলে বোল্ড হন ডানহাতি এই ওপেনার। এরপর অভিষিক্ত ইনিংসেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন জাকের আলী অনিক। কেশব মহরাজে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন এই ব্যাটার।
৭৬ রানে ৮ উইকেট হারানোয় এক সময় শঙ্কা জাগে একশ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তাইজুল ও নাঈমের জুটিতে তা আর হয়নি। নাঈমকে (৮) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রাবাদা। আর ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করা তাইজুলকে বোল্ড করে ইনিংসের ইতি টানেন মহারাজ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুল্ডারের করা অফ-স্টাম্পের বেশ বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন সাদমান ইসলাম (০)। চতুর্থ ওভারে মুল্ডারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরের পথ দেখেন আগের বলে বাউন্ডারি হাঁকানো মুমিনুল হক। লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন ৪ রান করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
শান্তকে (৭) তুলে নিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন মুল্ডার। তবে এক্ষেত্রে বড় অবদান বাংলাদেশ অধিনায়কেরই। লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের বাইরের দিকে লেগে তা সোজা চলে যায় শর্ট মিড-অফে থাকা মহারাজের হাতে।
চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে জয় কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের স্টাম্প লণ্ডভণ্ড করে দেন রাবাদা। এরই সঙ্গে রেকর্ড গড়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০তম উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার।
বেশিক্ষণ টেকেননি লিটন দাসও। ১২তম বলে নিজের প্রথম রান নেওয়ার পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। রাবাদার বলে গালিতে দারুণ এক উড়ন্ত ক্যাচ নেন ট্রিস্ট্যান স্টাবস।
ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ে জয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ১৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। মহারাজের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ১৩ রান করা মিরাজ।
তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা, মুল্ডার ও মহারাজ।
মন্তব্য করুন: