এক যুগ পর ঘরের মাঠে ভারতের টেস্ট সিরিজ হার
২৬ অক্টোবর ২০২৪
সিরিজ শুরুর আগে মিচেল স্যান্টনারকে দলে নেওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। তবে নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাস নতুন করে লেখা হলো বাঁহাতি এই স্পিনারের হাত ধরেই। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তার ১৩ উইকেট শিকারে ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতেছে কিউইরা। আর এতেই দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হারল ভারত।
শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনেই ১১৩ রানে পুনে টেস্ট জিতে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ৩৫৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে রোহিত শর্মার দলকে ২৪৫ রানে অল আউট করে দেয় সফরকারীরা।
দলকে সিরিজ জেতানোর মূল নায়ক স্যান্টনার প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও ৬ উইকেট। অথচ এই ম্যাচের আগে ২৮ টেস্টে কখনোই এক ইনিংসে ৩ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি ৩২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
এই হারে ভেঙে গেল ঘরের মাঠে ভারতের টানা ১৮ টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে নিজেদের মাঠে সবশেষ টেস্ট সিরিজ হেরেছিল তারা।
৫ উইকেটে ১৯৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা সফরকারীদের ইনিংসকে খুব বেশি লম্বা হতে দেননি রবীন্দ্র জাদেজা। ষষ্ঠ উইকেটে টম ব্লান্ডেল ও গ্লেন ফিলিপসের ৪৮ রানের এ জুটি ভেঙে ব্যাটিংয়ে ধস নামান এই বাঁহাতি স্পিনার। এরপর ২৪ রান তুলতেই শেষ ৪ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড।
জবাবে যশস্বী জয়সোয়াল ভারতকে ভালো শুরু এনে দিলেও অপর প্রান্তে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি রোহিত (৮) ও শুবমান গিল (২৩)। ৪১ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
কিন্তু দলীয় ১২৭ রানে ৬৫ বলে ৭৭ রান করা জয়সোয়াল ফিরলে আর ম্যাচে তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ভারত। পরের ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন কোনো রান না করা রিশাভ পান্ত। ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি বিরাট কোহলি। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সরফারাজ খান ফেরেন ৯ রান করে। শেষ দিকে জাদেজার ৪২ রান শুধু স্বাগতিকদের পরজায়টাই বিলম্বিত করেছিল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড থামে ২৫৯ রানে। এরপর স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে কেবল ১৫৬ রানেই শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস।
১৯৫৫ সাল থেকে ভারতে সফর করা নিউ জিল্যান্ড এই সিরিজের আগে দেশটির মাটিতে ৩৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি টেস্টে জয় পেয়েছিল। এবার ১৩তম সিরিজের প্রথম দুটিই জিতে নিল তারা। বেঙ্গালুরুতে ম্যাচে ৮ উইকেটের জয় পায় কিউইরা। আগামী শুক্রবার মুম্বাইয়ে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট।
মন্তব্য করুন: