চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫৯ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
৩১ অক্টোবর ২০২৪
আগের দিন ৪ উইকেট হারিয়ে এমনিতেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন সকালে মিডল-অর্ডার গুঁড়িয়ে সেই চাপটা আরও বাড়িয়ে দিলেন কাগিসো রাবাদা। ডানহাতি এই পেসারের তোপে পঞ্চাশের আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে প্রতিরোধের পর শেষ পর্যন্ত দেড়শর পর গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৫৯ রানে। ৪১৬ রানে পিছিয়ে ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হবে স্বাগতিকদের।
দিনের শুরুতেই রাবাদার তোপে প্রথম আধা ঘণ্টায় ৪ উইকেট হারানোর পর নবম উইকেটে মুমিনুল-তাইজুলের ব্যাটে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি পর্যন্ত টিকে যায় বাংলাদেশ। দারুণ খেলতে থাকা মুমিনুলকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ১০৩ রানের এই জুটি ভাঙেন সেনুরান মুথুসামি। ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটিতে মুমিনুল ফেরেন ৮২ রানে। এরপর ৩০ রান করা তাইজুল কেশব মহারাজের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিলে শেষ হয় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। বিরতির পর এই ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল ৮ ওভার ২ বল।
৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ প্রথম আধ ঘণ্টায় হারায় চার ব্যাটারকে, যার শুরুটা হয় অফ ফর্মে থাকা অধিনায়ক শান্তকে দিয়ে। দিনের চতুর্থ ওভারে ৯ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে কট বিহাইন্ড করান রাবাদা। এর ৪ বল ফেরেন মুশফিকুর রহিমও (০)। ডেইন প্যাটারসনের বলে স্কয়ার-লেগে থাকা টনি ডি জর্জির হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ দেখেন টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
পরের ওভারে সিরিজে তৃতীয়বারের মতো জোড়া আঘাত হানেন রাবাদা। প্রথম বলে তুলে নেন এখন পর্যন্ত সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজকে। উইকেটকিপারের হাত ক্যাচ দিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরেন ১ রানে। তৃতীয় বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে রাবাদার পঞ্চম শিকারে পরিণত হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অভিষিক্ত এই ব্যাটার ফেরেন কোনো রান না করেই।
১০ নম্বরে নামা তাইজুলকে নিয়ে ১৫ ওভারের মধ্যে ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মুমিনুল। দলের বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টায় নবম উইকেটে গড়েন ১০৩ রানের জুটি।
৯ ওভারে ৩৭ দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা। প্যাটারসন ও মহরাজের শিকার দুটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন: