একদিনে দুইবার অলআউট হয়ে হারল বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০২৪
ব্যাটারদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও ব্যাটিং বিপর্যয় এড়ানো যায়নি। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তোপে দিশেহারা দল এবার বিপর্যস্ত হলো স্পিনে। ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। এর আগে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর ১৫৯ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় তারা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্ট্যাবস ও উইয়ান মুল্ডারের সেঞ্চুরিতে ৫৭৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
নবম উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও হাসান মাহমুদের ৩৭ রানের জুটিতে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে টেস্ট হারের রেকর্ড এড়ায় শান্তর দল। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩১০ রানের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারেরটি পরাজয়ের হিসেবে দ্বিতীয় সবচেয়ে বাজে।
দ্বিতীয় ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ১০ নম্বরে নামা পেসার হাসান। দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও সেনুরান মুথুসামি মিলে নেন ৯ উইকেট। মহারাজের শিকার ৫টি।
বরাবরের মতো ব্যর্থ টপঅর্ডার। দুই ইনিংস পর রানের দেখা পান সাদমান ইসলাম। কিন্তু ৬ রানের বেশি করতে করতে পারেননি তিনি। ডেইন প্যাটারসনের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে বাঁহাতি এই ব্যাটার ক্যাচ ফিরলে ভাঙে ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর থেকে যাওয়া-আসায় ব্যস্ত ছিলেন ব্যাটাররা।
ব্যক্তিগত ১১ রানে মুথুসামির শিকার হয়ে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করা মুমিনুল হক ফেরেন মাত্র ২ বল খেলে। শূন্য রানে তাকে ফেরান মহারাজ। চা বিরতির আগে শেষ বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন জাকির হাসান (৭)।
বিরতির পর ক্রিজে এসেই আবার সাজঘরের পথ দেখেন মুশফিকুর রহিম (২)। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলেই সুইপ করতে গিয়ে মুথুসামির বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু অধৈর্য্য হয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন ৬ রান করা মিরাজ। খানিকবাদে ৩৬ রান করা শান্ত আউট বলে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে হারের রেকর্ড গড়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
তবে অভিষিক্ত অঙ্কনের দৃঢ়তায় তা আর হয়নি। প্রথম ইনিংসে ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়া তাইজুল দ্রুত ফেরার পর হাসানকে নিয়ে দলের সংগ্রহ একশ পার করান তিনি। তাদের জুটিতে একটা সময় মনে হচ্ছিল চতুর্থ দিনেও গড়াতে পারে ম্যাচ। কিন্ত ২৯ রান করা অঙ্কন ফেরার পরের ওভারেই শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস।
ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৭৭ রান করা ডি জর্জি। ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা কাগিসো রাবাদা।
মন্তব্য করুন: