১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা ঋদ্ধিমানের
৪ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের জার্সি গায়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২১ সালে। এরপর থেকে খেলছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। রঞ্জি ট্রফির চলতি মৌসুম শেষে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ভারতের হয়ে ৪০ টেস্ট খেলা এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৪০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ২০০৭ সালে বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট অভিষেক হয় ডানহাতি এই ব্যাটারের। জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে। উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকায় সে সময় তাকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবেই খেলতে হয়।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে ধোনির অবসরের পর জাতীয় দলে নিয়মিত হন ঋদ্ধিমান। উইকেটের পেছনে অনেকেই তাকে সেরাদের একজন মনে করতেন। তবে ব্যাটিংয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন। পরে উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে রিশাভ পান্তের উত্থানে জাতীয় দলে আবারও অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি।
ভারতের হয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সবশেষ মাঠে নামেন ঋদ্ধিমান। ওই সিরিজেও দুই ম্যাচের একটিতে অপরাজিত ফিফটি ছিল তার।
৪০ টেস্টে ২৯ দশমিক ৪১ গড়ে ১ হাজার ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান। ক্যারিয়ারে মোট ৩ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি ৬টি।
উইকেটের পেছনে টেস্টে ৯২টি ক্যাচ নিয়েছেন। স্টাম্পিং করেছেন ১২টি। ২০১০ থেকে ২০১৪ সময়ে ভারতের হয়ে ৯টি ওয়ানডেও খেলেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৩৮ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৭ হাজারের বেশি। ১৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ৪৩টি।
আইপিএলের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত সব মৌসুমেই খেলেছেন ঋদ্ধিমান। তবে তিনি বেশি স্মরণীয় ২০১৪ আসরের ফাইনালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে সেঞ্চুরির কারণে। কিন্তু তার ৫৫ বলে ১১৫ রানের ইনিংসের পরও শিরোপার ছোঁয়া পায়নি পাঞ্জাব।
পাঞ্জাবের পাশাপাশি কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চেন্নাই সুপার কিংস ও সবশেষ গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেন তিনি। ২০২২ আইপিএলে গুজরাটের শিরোপা জয়ে ৩১৭ রান করে বড় অবদান রেখেছিলেন এই ব্যাটার। টুর্নামেন্টে ১৭০ ম্যাচ খেলে ১২৭ দশমিক ৫৪ স্ট্রাইক-রেটে ২ হাজার ৯৩৪ রান করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন: