অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে নিজেকে কাঠগড়ায় তুলছেন শান্ত
৭ নভেম্বর ২০২৪
২ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান। সেখান থেকে আর মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে এরকম অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ৯২ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর দলের এই ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিজেকেও দায়ী হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বুধবার শারজায় আফগানদের দেওয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ২৫ বলের ভেতর ১১ রান যোগ করতেই শেষ ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
অথচ রান তাড়ায় একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতেই। শুরুতে তানজিদ হাসান তামিম ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন শান্ত। এরপর তৃতীয় উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে আরেকটি অর্ধশত রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক।
তবে দলীয় ১২০ রানে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও বোলার মোহাম্মদ নবীর পরিকল্পনার ফাঁদে পা দেন শান্ত। ডিপ স্কোয়ার লেগ থেকে একজন ফিল্ডার এনে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড় করান নবী। পরের বলেই সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন ৪৭ রানে খেলতে থাকা শান্ত।
ম্যাচ শেষে এটিকেই টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করে শান্ত বলেন, “আমার মনে হয়, আমার উইকেটই আজকের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। কারণ আমি থিতু হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া মিরাজ, সৌম্য, আমরা ৩০-৪০ রান করে আউট হয়েছি। এই ধরনের কন্ডিশনে আরও লম্বা সময় ব্যাট করা প্রয়োজন ছিল। আজকের ব্যাটিংয়ে এটিই ছিল মূল সমস্যা।”
“আমাদের প্রস্তুতি দুর্দান্ত ছিল। আজকের দিনটি আমাদের ছিল না। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”
শান্তর বিদায়ের পর দলীয় ১৩২ রানে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২৮ রান করা মিরাজ। এরপরই গাজানফার ও রশিদ খানের ঘূর্ণি ঝড়ে দিশেহারা হয়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক গাজানফার। ১৮ বছর বয়সী স্পিনার নিজের শেষ স্পেলে ৫ উইকেট শিকার করেন মাত্র ৪ রান দিয়ে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারও প্রশংসা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আফগানিস্তানের সবসময়ই অনেক রহস্য-স্পিনার থাকে। তবে তাদের সবাই খুব ভালো বল করেছে, বিশেষ করে ওই ছেলেটি (গাজানফার) সত্যিই ভালো করেছে।”
শনিবার একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দু’দল। বাংলাদেশ সময় খেলা শুরু হবে বিকেল ৪টায়।
মন্তব্য করুন: