আফগানিস্তানকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
৯ নভেম্বর ২০২৪
ব্যাট হাতে শুরুটা হয়েছিল আগ্রাসী। তবে খেলা যত গড়িয়েছে রানের গতিও তত কমেছে। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু টিকে যাওয়ার পর দ্রুত রান তুলতে পারেননি। তবে শেষ দিকে অভিষিক্ত জাকের আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৯ বলে শান্তর ৭৬ রান ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার ফিফটির দেখা পাননি। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ৫৯ রান তোলা দল শেষ ৪০ ওভারে যোগ করে ১৯৩ রান। শেষ দিকে জাকেরের ২৭ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারীরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিড-অনে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৭ বলে ২২ রান করে ফিরলে ভাঙে ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
শান্তকে নিয়ে শুরুর গতি ধরে রাখতে চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচের মতো এদিনও অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে এদিনও ভালো শুরুকে বড় করতে পারেননি সৌম্য। রশিদ খানের এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে তিনি ফিরলে ভাঙে ৭১ রানের জুটি।
৩৫ রান করা সৌম্য ফেরার পর থেকেই কমতে থাকে রানের গতি। ৭৫ বলে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজকে (২২) বোল্ড করে তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন রশিদ। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে দ্রুত ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও (১১)।
এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শান্ত নানগায়াল খারোটিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অফে নবীর হাতে ক্যাচ দেন। দুই বল পর একই ভাবে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফেরেন ৯ বলে ২ রান করে।
শেষ দিকে জাকের ও নাসুম আহমেদের ৪৬ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে টাইগাররা। ২৪ বলে ২৫ রান করে নাসুম ফিরলেও শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আড়াইশ রান পার করেন জাকের। ১টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: