মিরাজ-নাসুমের ঘূর্ণিতে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
৯ নভেম্বর ২০২৪
সিরিজে ফিরতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকের আলীর ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। তবে রহমত শাহর ফিফটিতে একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রেখেছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকে দু’দফায় ব্যাটিং ধস ঘটিয়ে তা নিজেদের দিকে টেনে নেয় টাইগাররা। ৬৮ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরেছে শান্তর দল।
শনিবার শারজায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শান্তর ৭৬ এবং শেষ দিকে জাকেরের ২৭ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে কাবু হয়ে ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা।
তবে জয়ের রাতে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার নাম অধিনায়ক শান্তর চোট। ২৩তম ওভারের প্রথম বলে ডাইভ দিয়ে বল আটকাতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে ওভারে ফিল্ডিং করলেও পরের ওভারের শুরুতে মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যান শান্ত। ম্যাচের বাকি সময় দলকে নেতৃত্ব দেন মিরাজ।
২ উইকেটে ১১৮ রান থেকে আর এক রান যোগ করতেই আফগানদের ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এরপর ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় আফগানরা।
লক্ষ্য তাড়ায় সেদিকউল্লাহ আটালের সঙ্গে ৫২ রানের জুটির পর অধিনায়ক শাহিদির সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রাখেন রহমত। তবে শাহিদিকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের এই জুটি ভেঙে দলকে স্বস্তি দেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ১ রান যোগ করতে আরও ২ উইকেট হারায় আফগানরা। প্রথমে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বোল্ড করেন নাসুম। একই ওভারে গুলবাদিনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫২ রান করা রহমত।
ষষ্ঠ উইকেটে গুলবাদিন ও মোহাম্মদ নবী সেই বিপর্য সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গুলবাদিনকে ফিরিয়ে ৪৪ রানের এই জুটি ভেঙে শেষ ধসের শুরুটা করেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে নবীকে বোল্ড করেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভার ৩ বলে গুটিয়ে যায় আফগানরা।
ওয়ানডে অভিষেকে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখলেও উইকেটের পেছনে খুব একটা স্বাচ্ছন্দে ছিলেন না জাকের। দশম ওভারে মিস করেন ১১ রানে থাকা রহমতের ক্যাচ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের করা ২২তম ওভারে হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে স্টাম্পিং করার সুযোগ পেলেও সময়মতো আফগান অধিনায়কের উইকেট ভাঙতে পারেননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের (৩৫) সঙ্গে ৭১ এবং মিরাজের (২২) সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন ম্যাচসেরা শান্ত। তবে মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি কমে যাওয়ায় তা আর হয়নি। ৯ রানের ব্যবধানে তাওহিদ হৃদয় (১১), শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর (৩) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল।
তবে সপ্তম উইকেটে নাসুমের সঙ্গে জাকেরের ৪৬ রানের ঝড়ো জুটিতে আড়াইশ রান পার করে সফকারীরা। নাসুম করেন ২৪ বলে ২৫ রান।
সোমবার একই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: