আরও কয়েক বছর সাদা বলে খেলার ‘সামর্থ্য আছে’ ইমরুলের

১৮ নভেম্বর ২০২৪

আরও কয়েক বছর সাদা বলে খেলার ‘সামর্থ্য আছে’ ইমরুলের

জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচ সুখকর হলো না ইমরুল কায়েসের। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই ছিলেন ব্যর্থ। সেই সঙ্গে তার দল খুলনা বিভাগও হেরেছে উইকেটে। তবে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও এখনও কয়েক বছর সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের সেরাটা দেওয়ার সামর্থ্য আছে বলে জানিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের এক পোস্টে টেস্ট দল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ইমরুল। সোমবার মিরপুর শের--বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় সেই পথচলা। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন রান করে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে খোলাসা করেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কারণ।

প্রথমত বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন বিসিবিকে (অবসরের) সিদ্ধান্তের কথা জানাই, তারা ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। আমাকে অনেকেই বলেছে, ‘ভাই, আপনি আরও বছর খেলতে পারতেন’। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আরও বছর খেললে তারাই প্রশ্ন করতভাই, আপনি কবে খেলা ছাড়বেন?’ এই কথাগুলো শোনার চেয়ে নিজ থেকেই চলে যাওয়াটা ভালো মনে হয়েছে। সম্মান থাকা অবস্থাতেই সরে দাঁড়ানোর বোধশক্তি থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বলার কারণ হিসেবে ফিটনেসের বিষয়টিও সামনে আনেন ইমরুল। তবে ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার দাবি, চার দিনের ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস না থাকলেও একদিনের ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলার পুরো সামর্থ্য আছে তার।

আমার ফিটনেস এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ওয়ানডে টি-টুয়েন্টির জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারব এবং আরও কয়েক বছর খেলতে পারব। চার দিনের ম্যাচ খেলার জন্য যে পরিমাণ শক্তি দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়, তা এখন আর নেই। আমার মনে হয়েছে, আমি যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং ওদের মতো ছন্দে খেলতে না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে একদিনেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এখানে ফুল এনার্জি দেওয়া সম্ভব।

জাতীয় দলের হয়ে ৩৯ টেস্টসহ ওয়ানডে টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে মোট ১৩১ ম্যাচ খেলা ইমরুলের চোখে সেরা অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই ব্যাটারের কাছে সেরা উদ্বোধনী সঙ্গী ছিলেন তামিম ইকবাল।

মন্তব্য করুন: