লুইস-অ্যাথানেজকে সেঞ্চুরির আগে ফিরিয়ে স্বস্তিতে বাংলাদেশ
২২ নভেম্বর ২০২৪
পেসার ও স্পিনারদের নৈপুণ্যে প্রথম দুই সেশনে রাত তুলতে বেশ হিমশিম খেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ সেশনে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজ। দু’জনই এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তার আগে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আলোকস্বল্পতার কারণে কিছুটা আগেভাগেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়। ৮৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান তুলেছে ক্যারিবিয়ানরা। ১৪ রানে জশুয়া দা সিলভা ও ১১ রানে জাস্টিন গ্রিভস দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ানদের বেশ চাপের মধ্যে রাখে। নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থে হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম জুটির বিরুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেননি ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ও মিকাইল লুইস। তবে প্রথম ঘণ্টাটা কোনো বিপদ ছাড়াই পার করেন এই দুই ওপেনার। ১২ ওভারে দলের খাতায় যোগ করেন ২৩ রান।
এরপরই তাদের সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ব্র্যাথওয়েইটকে (৪) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভাঙেন ২৫ রানের জুটি। নিজের পরের ওভারে কেসি কার্টিকে (০) ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের আরও চেপে ধরেন এই ডানহাতি পেসার।
তৃতীয় উইকেটে লুইসের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের শুরুর চাপ সামাল দিতে শুরু করেন কাভেম হজ। বোলারদের খুব একটা সুযোগও দেননি তারা। কিন্তু ৫৯ রানের এই জুটি ভাঙে হজ রানআউটে কাটা পড়লে। ফাইন লেগ থেকে তাইজুলের দারুণ থ্রো থেকে স্টাম্প ভাঙেন লিটন। ডাইভ দিয়ে নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি ২৫ রান করা হজ।
প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে ২ উইকেটে ৫০ রান তোলা স্বাগতিকরা পরের সেশনে ৩১ ওভারে করে ৬৬ রান। উইকেট হারায় একটি। তবে শেষ সেশনের ৩০ ওভারে তারা যোগ করে ১৩৪ রান। এর বড় কৃতিত্ব লুইস-অ্যাথানেজ জুটির। রানের গতি বাড়িয়ে দু’জনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ৪ ওভারের ব্যবধানে তাদেরকে ফিরিয়ে সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
শুরু থেকেই বেশ ধৈর্যের সঙ্গে খেলতে থাকা লুইস ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির জন্য কিছুটা অধৈর্য হয়ে পড়েন। ব্যক্তিগত ৯০ রানে স্লিপে মিরাজের কাছে জীবনও পেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর্ তা আর কাজে লাগাতে পারেননি। ৯৭ রানে মিরাজকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সেই স্লিপেই ক্যাচ দেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৪০ রানের জুটি।
সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি অ্যাথানেজের ইনিংসও। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা এই ব্যাটারকে ফেরান তাইজুল। স্টাম্পিং করিয়ে তার ৯০ রানের ইনিংসটি থামান এই স্পিনার।
এদিন তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। মিরাজ ও তাইজুল নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন: