ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০১ রানের হারে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

২৬ নভেম্বর ২০২৪

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০১ রানের হারে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় আগের দিনই ম্যাচের ফল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসারদের তোপে শেষ দিন সকালে বাংলাদেশের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল আধা ঘণ্টার একটু বেশি। ২০১ রানের হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মঙ্গলবার ম্যাচের পঞ্চম দিন বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৭ ওভারেই। আলজারি জোসেফের বাউন্সার শরিফুল ইসলামের ডান কাঁধে লাগলে শেষ পর্যন্ত তিনি আর ব্যাটিং চালিয়ে যেতে না পারায় বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩২ রানে।

৭ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারেই হারায় হাসান মাহমুদের উইকেট। এরপর জাকের আলী কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে থাকেন। তবে জোসেফের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে তার ইনিংস থামে ৩১ রানে। পরের ওভার শেষে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল।

এর আগে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকতে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। এরপর তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্বাগতিকদের ১৫২ রানে গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। তবে জয়ের জন্য বল হাতে তাসকিনের সব পরিশ্রম বৃথা হয়ে যায় ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায়।

বরাবরের মতো এই ইনিংসেও ব্যর্থ হন দুই ওপেনার। বেশ কয়েকটি জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি মুমিনুল হক কিংবা মিরাজের কেউই। প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো মুমিনুল ফেরেন ১১ রান করে। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা লিটন দাস সাজঘরের পথ দেখেন ২২ রান করে। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন মিরাজ।

তবে পুরো ম্যাচে বাংলাদেশকে বেশি ভুগিয়েছে হয়তো প্রথম ইনিংসে তাদের বোলিং। শুরুর দিকে পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের রান তুলতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। ২৬১ রানের মধ্যে তাদের ৭ উইকেটও তুলে নিয়েছিল তাসকিন-হাসানরা। কিন্তু এরপরেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।

কেমার রোচের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান জাস্টিন গ্রিভস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৪৫০ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

জবাবে টেস্ট মেজাজে খেললেও একটা সময় ফলো-অনের শঙ্কা পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে জাকের ও তাইজুল ইসলামের কল্যাণে তা থেকে রক্ষা পায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে তারা।

জ্যামাইকায় আগামী ৩০ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামবে দুদল।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: