নিউ জিল্যান্ডের ৬ ক্যাচ মিসের দিনে ব্রুকের সেঞ্চুরি
২৯ নভেম্বর ২০২৪
৭১ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বেশ চাপের মধ্যেই রেখেছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু একের পর এক ক্যাচ মিসের মহড়ায় সেই চাপ থেকে বেরুতে বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। চারবার জীবন পেয়ে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়ে দলকে এখন লিড এনে দেওয়ার পথে নিয়ে গেছেন হ্যারি ব্রুক।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ৫ উইকেটে ৩১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ইংলিশরা। নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে আছে ২৯ রানে। ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক হাঁকানো ব্রুক অপরাজিত আছেন ১৩২ রানে। অপরপ্রান্তে ৩৭ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন বেন স্টোকস। দিনের শুরুতে ৩৪৮ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
ছয় ক্যাচ মিসের দিনে ডান দিকে ঝাপিয়ে পুরো শরীর শূন্যে ভাসিয়ে অলি পোপের (৭৭) দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। এটি ছাড়া ফিল্ডিংয়ে একদমই বিবর্ণ ছিল কিউইরা। অধিনায়ক টম ল্যাথাম একাই ছেড়েছেন ৩টি ক্যাচ। এছাড়া একটি করে ক্যাচ ছাড়েন ফিলিপস, ডেভন কনওয়ে ও উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল।
নিউ জিল্যান্ডের ক্যাচ মিসের মহড়ার শুরুটা হয় ইনিংসের শুরুর দিকে। বেন ডাকেটের ক্যাচ ছাড়েন ল্যাথাম। সে সময় ইংলিশ ওপেনার ছিলেন ২৩ রানে। তিনি ফেরেন ৪৬ রান করে।
এরপর ১৮, ৪১, ৭০ ও ১০৬ রানে জীবন পান ব্রুক। সেঞ্চুরির আগে তিন দফায় জীবন পাওয়া এই ব্যাটার তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১২৩ বলে। ক্যারিয়ারের তার সাত সেঞ্চুরির ছয়টিই এসেছে দেশের বাইরে, যার মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে দুটি।
জীবন পেয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকসও। ব্যক্তিগত ৩০ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ল্যাথাম।
এর আগে বল হাতে জ্যাক ক্রলিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন ম্যাট হেনরি। এরপর ডাকেট ও অভিষিক্ত জ্যাকব বেথেল কিছুটা দেখে শুনে খেললেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে সফরকারীদের চাপে ফেলেন আরেক অভিষিক্ত ন্যাথান স্মিথ। ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই পেসার ফেরান বেথেলকে। তৃতীয় বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫০তম টেস্ট খেলতে নামা জো রুটকে (০)।
ডাকেট ফেরার পর দলের হাল ধরেন ব্রুক ও পোপ। এত এত ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ১৫১ রান। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক স্টোকসের সঙ্গে তার জুটি এখন ৯৭ রানের।
মন্তব্য করুন: