ইতিবাচক মানসিকতায় ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ: মিরাজ

৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইতিবাচক মানসিকতায় ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ: মিরাজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস তোপে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। রান রেটও ছিল বেশ কম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের দলের ব্যাটিং ছিল পুরো উল্টো। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলে বড় লিড নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল ব্যাটাররা। ১০১ রানে ম্যাচ জিতে ইতিবাচক মানসিকতার কথা জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।

মঙ্গলবার জ্যামাইকা টেস্টের চতুর্থ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জাকের আলীর ১০৬ বলে ৯১ রানের ইনিংসটি ছাড়াও দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের ৩৯ বলে ৪২ শাহাদাত হোসেন দিপুর ২৬ বলে ২৮ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে প্রতি ওভারে ২ দশমিক ২৮ করে রান তোলা দলের এই ইনিংসে রান রেট ছিল ৪ দশমিক ৪৭।  

ম্যাচ শেষে স্যাবাইনা পার্কে বসে বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় দলের এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে মিরাজ বলেন, আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।

দ্বিতীয় ইনিংসে অসুস্থতার কারণে নিজের তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করতে পারেননি মুমিনুল। সে জায়গায় ব্যাটিংয়ে নামা দিপুর ভয়ডরহীন ব্যাটিং দলের ইতিবাচক মানসিকতার ভিত গড়ে দেয় বলে জানান মিরাজ।

সৌরভ ভাই (মুমিনুল) অসুস্থ হওয়ার পর দলের সবাই বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ওই জায়গায় (পজিশন) ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। কিন্তু দিপুকে আমি বলেছিলাম, রাজি হয়েছে। ওকে আমি একটা কথা বলেছিলাম, এই উইকেটে তুমি ইতিবাচক খেলো। যদি মনে করো, প্রথম বলটাই মারার, তুমি প্রথম বলেই মারো। তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি তোমাকে অভয় দিলাম। সেভাবেই খেলেছে। ওর ২৮টা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিও চারে একই মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কারণ এই উইকেটে রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাই এটা ছিল, ১টা রানও খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি খেলোয়াড় যেন রানের জন্য ক্রিকেট খেলে। এর মানে এই না যে টেস্ট ক্রিকেট, ঠেকাবআমরা এই পরিকল্পনায় খেলেছি।

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার ব্যাপারে মিরাজ বলেন, “আমরা সবসময় কথা বলছিলাম কীভাবে এই ম্যাচটা জেতা যায়। ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পরও আমরা নেতিবাচক চিন্তা করিনি। খেলোয়াড়েরা খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা, তাসকিন হাসান মাহমুদ যেমন দ্বিতীয় ইনিংসের বিশেষজ্ঞ তাইজুল ৫ উইকেট পেয়েছে। গত ১০ বছরে তিনি দুর্দান্ত করছেন, আমাদের জন্য দুইশর বেশি উইকেট নিয়েছেন। ...আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে উন্নতি করব, আমরা সেটা ভাবি। কখনও কখনও আমরা ভুল কর। তবে সেখান থেকে শিক্ষাও নেব।

মন্তব্য করুন: