ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে স্মরণীয় জয় বাবাকে উৎসর্গ করলেন জাকের
৪ ডিসেম্বর ২০২৪
নাহিদ রানার পেস তোপে প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। আর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভিত গড়ে দিয়েছেন জাকের আলী। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর টেস্ট জয়ের পর সেটি প্রয়াত বাবার উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
মঙ্গলবার জ্যামাইকায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে জাকেরের ৯১ রানের ইনিংসের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ও পেসারদের নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের ১৮৫ রানে গুটিয়ে ১০১ রানের জয় পায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
এদিন তিন টেইলএন্ডার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানাকে নিয়ে দলের খাতায় ৫৭ রান যোগ করেন জাকের। এর মধ্যে তিনি একাই করেন ৫২ রান। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই তুলে নেন টানা তিন ফিফটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ব্যাটারের ইনিংস থামে আলজারি জোসেফের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। শেষ হয় ক্যারিবিয়ান পেসারদের চোখ রাঙানি দিয়ে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ১০৬ বলের ইনিংসটি।
এর আগে ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ানে সবশেষ টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। খর্বশক্তির স্বাগতিকদের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা ছাড়াও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও সব ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। সে সময় ১১ বছরের ছোট্ট জাকের সারা রাত জেগে দেখতেন বাংলাদেশের খেলা। এবার নিজেই অবদান রাখলেন দলের স্মরণীয় জয়ে।
ম্যাচ শেষে নিজের অফিশিয়াল ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে বাবাকে নিয়ে সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে জাকের লেখেন, “তখন আমার বয়স ১১। ২০০৯ সালের সেই সিরিজ এর একটা ম্যাচও আমি মিস করি নাই, সারারাত জেগে বাংলাদেশের খেলা দেখতাম। আব্বা ভোর রাতে উঠে দেখে আমি খেলা দেখছি। অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো, কিন্তু কোনো বকা দিল না। ১৫ বছর পর একই সিরিজে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলছি। আব্বা বেঁচে থাকলে হয়তো রাত জেগে খেলা দেখতো। যাইহোক, আব্বা এটা তোমার জন্য।”
মন্তব্য করুন: