ভারতকে গুঁড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ

৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতকে গুঁড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ

ব্যাট হাতে বড় পুঁজি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কিন্তু সেই রানকেই ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য বিশাল বড় করে তোলেন বাংলাদেশ পেসাররা। আল ফাহাদ-ইকবাল হোসেন ইমনদের পেস তোপে ৫৯ রানের জয়ে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রেখেছে টাইগার যুবারা।

দুবাইয়ে রোববারের  ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বল আগে ১৯৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে পেসারদের দাপটের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ঘূর্ণিতে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। গত আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে গুঁড়িয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতার পর এবার টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফলকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলল বাংলাদেশ।

১৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন মারুফ মৃধা ও ফাহাদ। এই দুই পেসারের তোপে ২৪ রানের ভেতর দুই ওপেনারকে হারায় ভারত, দ্বিতীয় ওভারে যার শুরুটা করেন ফাহাদ। পঞ্চম ওভারে বৈভব সূর্যবংশীকে ফেরান মারুফ। শুরুর এই ধাক্কা এরপর আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি আটবারের চ্যাম্পিয়নরা।

চতুর্থ উইকেটে কেপি কার্তিকিয়া ও অধিনায়ক মোহম্মদ আমানের ২৯ রানের জুটিতে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান ইমন। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এই জুটি ভাঙার পাশাপাশি পরের ৮ রানের ভেতর ৩ উইকেট তুলে নেন ডানহাতি এই পেসার।

অষ্টম উইকেটে আমান ও হার্দিক রাজের ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পারে ভারত। ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ তামিম বল হাতে তিন ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ৩৫ ওভার ২ বলে গুটিয়ে দেন ভারতের ইনিংস।

ইমন ও তামিমের শিকার ৩টি করে উইকেট। ফাহাদের শিকার ২টি। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ ও রিজান হোসেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ছক্কা মেরে দলের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। কিন্তু অপরপ্রান্তে তেমন সুবিধা করতে পারেননি কালাম সিদ্দিকী। ১৬ বলে ১ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরলে ভাঙে ১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।

একাদশ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪১ রানে সাজঘরের পথ দেখেন জাওয়াদ (২০)। এরপরই কমে আসে দলের রানরে গতিও। দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক তামিম ফেরেন ১৬ রান করে। ৬৬ রান ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও রিজান।

চতুর্থ উইকেটে এই দুই ব্যাটারের ৬২ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। ৪০ রান করা জেমস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। কিন্তু এরপর ৩৭ রানের ভেতর আরও ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে দল। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে ফেরেন রিজান। শেষ দিকে টেইলএন্ডারদের নিয়ে দলের খাতায় ৩২ রান যোগ করে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন ফরিদ হাসান। এই উইকেটকিপার-ব্যাটার করেন ৩৯ রান।

বল হাতে ৭ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরা হওয়ার পাশাপাশি ৫ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন ইমন।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]

মন্তব্য করুন: