রাদারফোর্ডের তাণ্ডবে হেরে গেল বাংলাদেশ

৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রাদারফোর্ডের তাণ্ডবে হেরে গেল বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীর শেষ দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পেসারদের নৈপুণ্যে বল হাতে দারুণ শুরুও পেয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। কিন্তু সেই চাপ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। শারফেইন রাদার্ফোর্ডের বিধ্বংসী শতকে টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

রোববার সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তানজিদ হাসান তামিম, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর তিন ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে শাই হোপের ৮৬ এবং রাদারফোর্ডের ৮০ বলে ১১৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ১৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় ক্যারিবিয়ানরা।

রান তাড়ায় ২৭ রানের ভেতর দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। ব্র্যান্ডন কিংকে (৯) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে শুরুটা করেন তানজিম হাসান সাকিব। দুই বল পরে গতির ঝড় তুলে আরেক ওপেনার এভিন লুইসকেও (১৬) এলবিডাব্লিউ করান নাহিদ রানা। বাংলাদেশের বলার মতো সাফল্য এটুকুই। এরপর ধীরগতিতে রান তুললেও ক্যারিবিয়ানদের খুব একটা চাপে ফেলতে পারেনি বোলাররা।

তৃতীয় উইকেটে কেসি কার্টিকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে শুরু করেন অধিনায়ক হোপ। ২১ রান করা কার্টিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। এরপর চতুর্থ উইকেটে হোপ ও রাদারফোর্ড জুটি থেকে আসে আরও ৯৯ রান। হোপকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন মিরাজ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন অন্য বোলাররা।

নাহিদ রানার ১৪৯ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিতে আউট হন লুইসরাদারফোর্ডের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের ওপর রীতিমত ঝড় তোলেন জাস্টিন গ্রিভস। আর এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় টাইগাররা। ৭৭ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান রাদারফোর্ড। শেষ দিকে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান সৌম্য সরকার। পরের ওভারে রোস্টন চেজকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ৪১ রান অপরাজিত থাকা গ্রিভস।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। ১৯ রান করে বাঁহাতি এই ব্যাটার ফিরলে ভাঙে ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর মাত্র ২ রান করে সাজঘরের পথ দেখেন ৪ ম্যাচ পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা লিটন।

তৃতীয় উইকেটে তানজিদ ও মিরাজের ৭৯ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে সফরকারীরা। ৬০ বলে ৬০ রান করে তানজিদ ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা আফিফ হোসেনকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। এ সময় ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন টাইগার দলপতি। তবে আফিফ (২৮) ফিরলে ৫৪ রানের এই জুটি ভাঙে।

১০১ বলে ৭৪ রান করে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে দিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। শেষ ১০ ওভারে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের ৮৪ রান যোগ করলে বড় সংগ্রহ পেলেও শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৪৮ রান করা জাকের ফিরলে ৯৬ রানের এই জুটি ভাঙে। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে।

একই মাঠে আগামী মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানেডেতে মাঠে নামবে দু’দল।

মন্তব্য করুন: