রিয়াদ-সাকিবের রেকর্ড জুটিতে উইন্ডিজের লক্ষ্য ২২৮

১০ ডিসেম্বর ২০২৪

রিয়াদ-সাকিবের রেকর্ড জুটিতে উইন্ডিজের লক্ষ্য ২২৮

১১৫ রানের ভেতর ৭ উইকেট হারিয়ে দেড়শ’র আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিবের রেকর্ড জুটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারীরা। সিরিজে সমতায় ফিরতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

মঙ্গলবার সেন্ট কিটসে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। অষ্টম উইকেটে তানজিমকে নিয়ে ৯২ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ভেঙে দেন এই উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ও সাইফউদ্দিনের ৮৪ রানের জুটির রেকর্ড।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু তরুণ এই ওপেনারকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। মিড উইকেটে থাকা ফিল্ডারকে ক্যাচ শিখিয়ে সৌম্য সরকার (২) ফিরলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৬ রানে। এরপর ক্রিজে এসে বেশ অস্বস্তিতেই ছিলেন লিটন দাস। ব্যাটে-বলে টাইমিং না মেলাতে পেরে ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরেন ১৯ বলে ৪ রান করে। পরের ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো অধিনায়ক মিরাজ (১)। তিনটি উইকেটই নেন জেইডেন সিলস।

তবে অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও স্বাচ্ছন্দেই রান তুলতে থাকেন তানজিদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দুই ছক্কায় তোলেন ১৮ রান। তার সঙ্গীরা ছন্দ খুঁজে না পেলেও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকনে এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু ফিফটির দেখা পাননি। প্রথম ওয়ানডের মতো প্রায় একই ভাবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করে বেশ হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ।

৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৬ রানের এই জুটি ভাঙতে সেই প্রতিরোধ ভেঙে যায়। এদিনও ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি আফিফ। পরের ১৫ রান যোগ করতে জাকের আলী (৩) ও রিশাদ হোসেনের (০) উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম।

এই দুই ব্যাটারের জুটিতে দুইশ পার করে বাংলাদেশ। টানা তিন ওয়ানডেতে ফিফটি তুলে নেন শুরু থেকে ধরে খেলা মাহমুদউল্লাহ। দারুণ খেলতে থাকা তানজিম ৪৫ রান করে ফিরলে ১০৬ বলের এই জুটি ভাঙে। পরের ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন মাহমুদউল্লাহও। শেষ উইকেটে ১৮ রান যোগ করে বোলারদের জন্য লড়াই করার পুঁজি আরেকটু বাড়িয়ে দেন শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।
[বিস্তরিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: