চার ফিফটিতে উইন্ডিজকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মাঝে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়েছিল তারা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীর রেকর্ড জুটিতে এক বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে তিনশ রান করেছে টাইগাররা। জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
বৃহস্পতিবার সেন্ট কিটসে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও জাকেরের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ৩২১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৬৩ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ৫৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। এর আগে সৌম্য ৭৩ ও মিরাজ ৭৭ রান করে আউট হন।
ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের ১১৭ বলে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ রানের জুটি গড়েন। ভেঙে দেন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহর করা ১২৮ রানের জুটির রেকর্ড।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এদিন ওয়ানডেতে তিনশ রান পার করে বাংলাদেশ। সেবার বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩০৬ রান করেছিল সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারের মধ্যেই তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে তারা। আগের দুই ম্যাচে ভালো খেলা তানজিদ এদিন ফেরেন কোনো রান না করেই। আর ব্যাট হাতে হতাশার সিরিজে লিটনও ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
তৃতীয় ওভারে এই দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে থাকা দলকে পাল্টা আক্রমণে টেনে তোলেন সৌম্য ও মিরাজ। শূন্য রানে জীবন পাওয়া সৌম্য আরেকটি জীবন পান ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। দুবার জীবন পেয়ে তা কাজে লাগাতে একদমই ভুল করেননি তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে হতাশ করা বাঁহাতি এই ওপেনার ৫৮ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি।
অপরপ্রান্তে ক্রিজে এসেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকা মিরাজ ফিফটির দেখা পান সৌম্যর আগেই। ৫৬ বলে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন চারে নামা বাংলাদেশ অধিনায়ক। গুদাকেশ মোটির বলে সৌম্য এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে ১৩৬ রানের জুটিটি ভাঙে। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৩ বলের ইনিংসটি সাজান সৌম্য।
সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মিরাজের ইনিংস। দ্রুত রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়লে ডানহাতি এই ব্যাটারের ইনিংস থামে। পরের ওভারে ফেরেন আফিফ হোসেনও (১৫)। ১৭১ রানে ৫ উইকেটে হারানোর পর দলকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও জাকের জুটি। শুরুতে ধরে খেললেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৫ ওভারে তারা দলের খাতায় যোগ করেন ৬১ রান। এর মাঝে ৪৮ বলে সিরিজে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। সঙ্গীর দেখানো পথে ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন জাকের।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: