তামিমের ৯ রানের আক্ষেপের দিনে চট্টগ্রামের হার

জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টুয়েন্টি দিয়ে সাত মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি তামিম ইকবাল। তবে এর পর থেকে আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। এবার সুযোগ এসেছিল সেঞ্চুরি হাঁকানোর। কিন্তু তা করতে পারেননি। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বরিশাল বিভাগের কাছে হেরে গেছে তার দল চট্টগ্রাম বিভাগও।

রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিমের ৫৪ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৯১ রানের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রামে। জবাবে শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে ৫ উইকেটে জয় পায় বরিশাল। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৫ রানের। ইরফান হোসেনের করা ওভারটিতে ৩টি ছক্কা ও ২টি চার মেরে দলকে জয় এনে দেন সালমান হোসেন ইমন।

শুরুটা বেশ সাবধানেই করেন তামিম। প্রথম ১৮ বলে তোলেন ১৫ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন তিনি। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় এবং ক্যারিয়ারের ৫১তম ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

ফিফটির পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তামিমের ব্যাট। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে এগুচ্ছিলেন তিন অঙ্কের দিকেই। কিন্তু ১৭তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান।

একই মাঠে দিনের অন্য ম্যাচে তানবীর হায়দারের ৭১ এবং অধিনায়ক আকবর আলীর ২৯ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী বিভাগকে ৭ উইকেটে হারায় রংপুর বিভাগ। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছিল রাজশাহী। আগের দিন ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৮০ রান করা শান্ত এদিন ফেরেন মাত্র ৬ রানে। জবাবে আকবরের ১৯ বলের ফিফটিতে ১২ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছায় রংপুর।

আউটার মাঠে ঢাকার দুই দলের লড়াইয়ে ১৯ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। তাদের দেওয়া ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা বিভাগের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। একই মাঠে অন্য ম্যাচে খুলনা বিভাগের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্য ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই তাড়া করে সিলেট বিভাগ।

চার ম্যাচ শেষে সবকটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রংপুর। সমান জয় পেলেও নেট রান-রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে ঢাকা মেট্রো। দুটি করে জয়ে তিন ও চারে আছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল।