বোলারদের নৈপুণ্যে টি-টুয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী আবারও ঝড় তোলায় লড়াই করার মতো স্কোর করেছিল বাংলাদেশ। এরপরও দরকার ছিল দুর্দান্ত বোলিংয়ের। সেটাই করে দেখালেন তাসকিন আহমেদ-শেখ মাহেদী হাসানরা। তাতেই দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শামীমের ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস থামে ১০২ রানে।
তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট। মাহেদী, তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন নেন ২টি করে উইকেট। বাকি একটি নেন হাসান মাহমুদ। চার ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ফেরেন কোনো রান না করেই।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছিল স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ওভারেই তোলে ১৯ রান। কিন্তু তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হেনে দৃশ্যপট বদলে দেন তাসকিন। প্রথম বলে ব্র্যান্ডন কিংকে (৮) তুলে নেওয়ার পর ডানহাতি এই পেসার পঞ্চম বলে ফেরান আন্দ্রে ফ্লেচারকে (২)। উইকেটের পেছনে দুটি ক্যাচই নেন লিটন দাস।
পরের ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকা জনসন চার্লসকে (১৪) তুলে নিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন মাহেদী। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে নিকোলাস পুরানকেও (৫) ফেরান এই অফ-স্পিনার। শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা।
তানজিমের বলে আগের ম্যাচে ৬০ রান করা রভম্যান পাওয়েল শূন্য রানে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। হাসানের করা পরের ওভারে পয়েন্টে ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের দারুণ ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে তুলে নেন তানজিম।
আকিল হোসেনকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়কে বিলম্বিত করেন রোস্টন চেজ। হাসানের করা ১৬তম ওভারে দুই ছক্কায় ১৬ রান তুলে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কিন্তু পরের ওভারে রিশাদের জোড়া আঘাতে সেটি শেষ হয়ে যায়। ৩১ রান করা আকিলকে তাসকিন তুলে নিলে ৯ বল আগে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
এর আগে ব্যাট হাতে হতাশাজনক সময়কে পেছনে ফেলতে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন লিটন। কিন্তু ভাগ্য আর ফেরেনি অধিনায়কের। ১০ বলে ৩ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে বোল্ড হন তিন নম্বরে নামা তানজিদ হাসান তামিম (২)। এরপর একাদশে ফেরা মিরাজের কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে ২৯ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।
পাওয়ারপ্লে শেষে ব্যাটাররা যেন রান তুলতে আরও হিমশিম খেতে শুরু করে। ১৮ বলে ১১ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন সৌম্য সরকার। ভাঙে তৃতীয় উইকেটে ২৮ রানের জুটি। সঙ্গীর বিদায়ের পর মিরাজও ফেরেন দ্রুত। তিনি ফেরেন ২৫ বলে ২৬ রান করে। রিশাদ হোসেন (৫) ও মাহেদীও (১১) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
১৪ ওভার ২ বলে ৭২ রানের ষষ্ঠ উইেকটের পতনের পর ক্রিজে আসেন শামীম। একপ্রান্ত আগলে রাখা জাকের আলী ২১ রান করে ফিরলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটারের নৈপুণ্যে শেষ চার ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ৪২ রান। ইনিংসে দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া শামীম।
একই মাঠে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৬টায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে মাঠে নামবে দু’দল।
মন্তব্য করুন: