২ রানআউটের হতাশা রান করেই কাটালেন জাকের

২০ ডিসেম্বর ২০২৪

২ রানআউটের হতাশা রান করেই কাটালেন জাকের

বাংলাদেশ ইনিংসের ১৫তম ওভারে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও শেখ মাহেদী হাসান। দুটো রানআউটের সময়ই ক্রিজে ছিলেন জাকের আলী। এমনকি প্রথম রানআউটের পর ড্রেসিংরুমেও ফিরে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পরে অবশ্য থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদলানোয় আবারও ক্রিজে আসেন তিনি। এরপর বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। দুই সতীর্থর রানআউট দেখার পর মনের মধ্যে কি চলছিল, ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন জাকের।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড় দেন জাকের। কিন্তু এক রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় রানের জন্য সাড়া দেননি শামীম। দুজনই একই প্রান্তে এসে পড়ায় প্রথমে ভাবা হয়েছিল আউট হয়েছেন জাকের। ডানহাতি এই ব্যাটার রাগে গজরাতে গজরাতে ড্রেসিংরুমেও ফিরে যান। কিন্তু পরে থার্ড আম্পায়ারের রিপ্লেতে দেখা যায় শামীমের আগের ক্রিজে প্রবেশ করেন জাকের। ফলে আবার মাঠে আসেন তিনি, আউট হন শামীম।

ওভারের পঞ্চম বলে আবারও রানআউট। এবার দ্রুত রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন কোনো বল না খেলা মাহেদী।

দুই সতীর্থকে রানআউটের পর ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন জাকেরম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে রানআউটের বিষয়ে জাকের বলেন, “আমার ধারণা, এটা ভয়াবহ ভুলবোঝাবুঝি ছিল। ড্রেসিংরুমে গিয়ে আমি নিজেকে, ব্যাটে এবং আশপাশে যা কিছু ছিল, সবকিছুতে লাথি মারছিলাম। আর তখনই থার্ড আম্পায়ার (ফোর্থ আম্পায়ার) আমাকে ডেকে নিল।

এরপর আমার কারণে আরও একটি রানআউট হয়েছে। নিজেকে লাথি মারার ইচ্ছা হচ্ছিল আমার এবং সে সময় আমি ভেঙেও পড়েছিলাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ। এরপর আমি দলের জন্য রান করার সুযোগ পেয়েছি এবং তাদের (শামীম ও মাহেদী) রানও করতে পেরেছি।

মাহেদী ফেরার পরই ক্যারিবিয়ানদের ওপর ঝড় তোলেন জাকের। শেষ পাঁচ ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ৭৫ রান, যার বড় অবদান ডানহাতি এই ব্যাটারের। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে।

শুধু এই ম্যাচেই নয়, পুরো সফরেই ব্যাট হাতে ভালো করেন  জাকের। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রাখেন। এর আগে প্রথম ম্যাচেও দেখা পান ফিফটির। ওয়ানডে সিরিজেও দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে শেষ দিকে দলের হাল ধরেছিলেন।

পুরো সফরে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, “এই সিরিজটা আমার জন্য দারুণ ছিল। টেস্ট সিরিজ, ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টিজুড়ে ভালো করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আজকের উইকেট আগের দুই ম্যাচের তুলনায় ভালো ছিল। আমি সময় নিয়ে থিতু হওয়া চেষ্টা করছিলাম। জানতাম, যদি লম্বা সময় খেলতে পারি, তবে আমি রান করতে পারব।

মন্তব্য করুন: