জাকের-শামীমকে স্পিরিট অব ক্রিকেটের পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান বিশপের
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
ইয়ান বিশপকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অনেকেই চেনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়শই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন এই জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে জাকের আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর কাজে মুগ্ধ হয়ে এই দুই ক্রিকেটারকে স্পিরিট অব ক্রিকেটের পুরস্কার দেওয়ার জন্য আইসিসির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনা বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালের, বাংলাদেশ ইনিংসের ১৪তম ওভারের। সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টিতে গুদাকেশ মোটির করা ওভারের প্রথম বলটি মিড উইকেটে বাউন্ডারির দিকে পাঠান জাকের। সীমানায় যাওয়ার আগে ডাইভ দিয়ে বলটি ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন ওবেদ ম্যাকয়। তবে এই ফিল্ডার তা করতে পারেননি, উল্টো হাতে আঘাত পান।
অন্যদিকে জাকের ও শামীম দৌড়ে রান নিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় রান নেওয়াার সময় তারা বুঝতে পারেন ম্যাকয় আঘাত পাওয়াতে বল তুলে ফেরত পাঠাতে পারছেন না। সেই অবস্থায় তৃতীয় রান নেওয়ার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটার তা করা থেকে বিরত থাকেন।
জাকের-শামীমের এই ঘটনাকে তাৎক্ষণিকভাবে ধারাভাষ্যকক্ষে ‘গ্রেট স্পোর্টসম্যানশিপ’ বলে আখ্যা দেন বিশপ। এরপর ম্যাচ শেষ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এটিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ডের জন্যও সুপারিশ করেন সাবেক এই ক্যারিবিয়ান পেসার।
“আইসিসি যদি ২০২৪ সালের ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ড দেয়, আমার পরামর্শ তৃতীয় টি-টুয়েন্টির সেই মুহূর্তটিকে দেওয়ার, যখন জাকের আলী ও শামীম হোসেন তৃতীয় রান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল আউটফিল্ডে ক্যাচ নিতে গিয়ে ওবেদ ম্যাকয় আঘাত পেয়েছে।”
If the @ICC are giving out a “spirt of Cricket” award for 2024; I am suggesting the moment Jaker Ali and Shamim Hossain decided against running a third run when they realized Obed McCoy hurt himself trying to take an outfield catch in this 3rd T20i ????.
— Ian Raphael Bishop (@irbishi) December 20, 2024
প্রতি বছর ক্রিকেট মাঠে দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্সের জন্য বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে থাকে আইসিসি। এর মধ্যে স্পিরিট অব দ্য গেম সমুন্নত রাখার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দল বা ঘটনাকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ, প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ও দল, আম্পায়ারের ভূমিকা, ক্রিকেটের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন: