জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান টেস্টে রেকর্ডের ছড়াছড়ি
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে রীতিমত পাহাড় গড়েছিল দু’দল। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ার পাশাপাশি দু’দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার গড়েছেন ব্যক্তিগত রেকর্ডও।
সোমবার বুলাওয়েয়োতে শেষ হওয়া ম্যাচে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তান অলআউট হয় ৬৯৯ রানে, যা দেশটির টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তাদের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ সালে আবু ধাবি টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা ৪ উইকেটে ৫৪৫ রান।
নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ার পাশাপাশি টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ছয়শর বেশি দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে আফগানরা। ২০১৮ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলটি এই কীর্তি গড়তে ম্যাচ খেলেছে ১০টি। ১৯৫৮ সালে নিজেদের ১৯তম টেস্টে দলীয় ছয়শ রান করে এতদিন এই তালিকার শীর্ষে ছিল পাকিস্তান।
এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার প্রায় ১৩ বছর পর নিজেদের ৭৬তম টেস্টে প্রথমবারের মতো ছয়শ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে টাইগাররা। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩৮ রান করেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এই একবারই ছয়শ রান করেছে বাংলাদেশ।
বুলাওয়েয়ো টেস্টে শুধু আফগানিস্তানই নয়, ৫৮৬ রানে অলআউট হয়ে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ৫৬৩ রান, ২০০১ সালে হারারে টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো একই টেস্টে দু’দল সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ল। এর আগে ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের ওয়েলিংটন টেস্টে এই ঘটনা দেখা গিয়েছিল।
রেকর্ড দলীয় সংগ্রহের ম্যাচে আফগানদের হয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২৪৬ রানের ব্যক্তিগত স্কোরের রেকর্ড গড়েন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ২০০ রানে অপরাজিত থেকে আগেও এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটারের। তবে চলতি ম্যাচেই শাহিদির রেকর্ড ইনিংসের আগে এই কীর্তি নিজের করে নিয়েছিলেন রহমত শাহ। তার ইনিংস থামে ২৩৪ রানে।
ম্যাচের তৃতীয় দিন এই দুই ব্যাটার কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৫ ওভার ব্যাটিং করেন। টেস্ট ইতিহাসে পুরো দিনের খেলায় সবচেয়ে বেশি ওভার খেলার তালিকায় তিন নম্বরে আছে রহমত-শাহিদি জুটি।
তৃতীয় উইকেটের এই জুটিতে ৬৩০ বলে এই দুই ব্যাটার যোগ করেন ৩৬৪ রান, যা আফগানিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম বয়সে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড করেন ব্রায়ান বেনেট। বুলাওয়েয়ো টেস্ট যখন শুরু হয়, জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডারের বয়স ছিল ২১ বছর ৪৬ দিন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ১১০ রান অপরাজিত থাকার পর ডানহাতি অফস্পিনে শিকার করেন ৫ উইকেট।
মন্তব্য করুন: