টি-টুয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
২ জানুয়ারি ২০২৫
গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন সময়েই তিন ফরম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আপাতত টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে চালিয়ে যাবেন টেস্ট ও ওয়ানডে দলে অধিনায়কের দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। টি-টুয়েন্টি থেকে শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ নিজেই।
“শান্ত ফাইনালি বলে দিয়েছে সে আর টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না। আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি–টোয়েন্টি খেলা নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে।”
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে শান্তকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার নেতৃত্বে গত বছর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ, যার মধ্যে জয় কেবল ১৪টিতে।
২০২৪ সালে শান্তর অধীনে সবচেয়ে ২১টি টি-টুয়েন্টিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে খেলা চারটি টি-টুয়েন্টি সিরিজের মধ্যে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ছাড়া জয় পায়নি একটিতেও। সিরিজ হেরেছে শক্তিমত্তায় বেশ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও।
অবশ্য টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্যটা এসেছে শান্তর হাত ধরেই। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের কোনো আসরে তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইটে খেলেছিল টাইগাররা।
তবে পূর্ণ মেয়াদে এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে সময়টা একদমই ভালো যায়নি শান্তর। ২০ ইনিংসে বাঁহাতি এই ব্যাটার ১০২ দশমিক ৫৭ স্ট্রাইক-রেটে করেন ৩৫৮ রান। ফিফটির দেখা পেয়েছেন মাত্র একটি।
অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টি-টুয়েন্টিতে গত বছর অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ মাঠে নামেন শান্ত। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরে কুঁচকির চোটের কারণে খেলতে না পারায় সেখানে টি-টুয়েন্টি সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। এই উইকেটকিপার-ব্যাটারের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ানদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশড করে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন: