রোহিত ও কোহলির ভবিষ্যৎ তাদের হাতেই ছেড়ে দিলেন গম্ভীর

৫ জানুয়ারি ২০২৫

রোহিত ও কোহলির ভবিষ্যৎ তাদের হাতেই ছেড়ে দিলেন গম্ভীর

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে ভারতকে হতাশ করেছেন বিরাট কোহলি রোহিত শর্মা। অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের পাশাপাশি বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ভারত। দলের এমন ভরাডুবির পর জাতীয় দলে কোহলি-রোহিতের ভাগ্য তাদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর।

রোববার সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন ভারতকে উইকেটে হারিয়ে - ব্যবধানে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ব্যাট হাতে ধারাবাহিক রানখরায় থাকায় এই ম্যাচের দল থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত। পারিবারিক কারণে প্রথম টেস্ট খেলতে না পারার পর দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ টেস্টে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ইনিংসে মাত্র একবার দুই অঙ্কের দেখা পান তিনি।

অন্যদিকে সিডনিতে দুই ইনিংসে কোহলি করেন ১৭ রান। দুই ইনিংসেই একই ধরনের বলে তাকে সাজঘরে ফেরান ম্যাচসেরা স্কট বোলান্ড। শুধু এই ম্যাচেই নয়, পুরো সিরিজে তিন ম্যাচ খেলা ডানহাতি এই পেসারের বলে মোট চারবার আউট হয়েছেন কোহলি। আর ইনিংসের আটবারই অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ দেখেন ভারতের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

পুরো সিরিজে বোল্যান্ডের বলে চারবার আউট হয়েছেন কোহলিপ্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। পুরো সিরিজে তার বলার মতো ইনিংস কেবল সেটিই। এরপর দেখেননি কোনো ফিফটি। ইনিংসেই আউট হয়েছেন ২০ রানের আগেই।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলে কোহলি রোহিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে গম্ভীর বলেন, “আমি কোনো খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে পারি না। এটা তাদের নিজস্ব বিষয়।

তবে আমি বলতে পারি, তাদের মধ্যে এখনও তাড়না উৎসাহ আছে। তারা কঠিন মানসিকতার অধিকারী। আশা করছি, তারা ভারতীয় ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই যেটা জানি, তারা যে পরিকল্পনাই করুক না কেনো সেটা ভারতীয় ক্রিকেটের বৃহৎ স্বার্থেই করবে। 

পুরো সিরিজে ভারতীয় ব্যাটাররা মাত্র দুটি সেঞ্চুরি করতে পেরেছে। ওগুলো পার্থে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সোয়াল কোহলির। ভারতীয় কোচের মতে, ব্যাটারদের টেস্ট ক্রিকেটে আরও দৃঢ় মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার। 

আমি মনে করি, এটা সম্পূর্ণই মানসিকতার ওপর নির্ভর করে। টেস্ট ক্রিকেটে কঠিন মুহূর্তগুলো কাটানোর মানসিকতা এবং ধৈর্য্য দেখানোর ইচ্ছা কতটা, তা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, আমাদের একটি সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কীভাবে আমরা ২০, ৩০ বা ৪০ রানের ইনিংসগুলোকে বড় সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারি। শুধু সেঞ্চুরি নয়, বড় সেঞ্চুরি। যাতে আমরা বোলারদের জন্য ম্যাচ প্রস্তুত করতে পারি?”

মন্তব্য করুন: