এবার আফগানিস্তান ম্যাচ বয়কটের আহ্বান দ. আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রীর
১০ জানুয়ারি ২০২৫
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের ডাক দিনদিন যেন জোরাল হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদদের একটি অংশের পর এবার এই তালিকায় যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী। আফগানদের সঙ্গে নির্ধারিত ম্যাচ বয়কটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশটিতে নারীদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রতিবাদে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে এই আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইসিবি।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা আছে প্রোটিয়াদের। তবে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে (সিএসএ) ম্যাচটি না খেলার আহ্বান জানান দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী গ্যায়টন ম্যাকেঞ্জি।
“ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা, অন্যান্য দেশের ফেডারেশন এবং আইসিসিকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে ক্রিকেট বিশ্ব এবং বিশেষত নারীদের প্রতি ক্রিকেট যে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে তা নিয়ে।"
“ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে এটা আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয় যে দক্ষিণ আফ্রিকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সূচি অনুযায়ী খেলবে কি না। যদি সিদ্ধান্তটি আমার হাতে থাকত, তাহলে অবশ্যই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতো না।”
এ সময় তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি এমন একটি জাতি থেকে এসেছি, যারা বর্ণবাদী শাসনামলের সময় খেলাধুলায় সমান সুযোগ পায়নি। আজ বিশ্বের কোথাও নারীদের সঙ্গে একই রকম আচরণ করা হলে তা উপেক্ষা করা আমার জন্য ভণ্ডামি এবং অনৈতিক হবে।”
ক্রীড়ামন্ত্রীর আহ্বনের পর একই দিন এক বিবৃতিতে সিএসএ জানায়, তারা আইসিসির সিদ্ধান্ত মেনে চলবে এবং বিষয়টি নিয়ে সব সদস্য দেশের সম্মিলিত অবস্থান প্রয়োজন।
“আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার দমনের ঘটনাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা বিশ্বাস করি, নারীদের ক্রিকেট সমান স্বীকৃতি এবং সংস্থান পাওয়ার অধিকার রাখে।”
এর আগে গত সোমবার ১৬০ জন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইসিবিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিলেন লেবার পার্টির এক এমপি।
মন্তব্য করুন: