পিসিবির হল অব ফেইমে ইনজামাম-মিসবাহ-মুশতাক-সাঈদ
১০ জানুয়ারি ২০২৫
পাকিস্তান ক্রিকেটে অসামন্য অবদান রাখার জন্য দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অব ফেইমে জায়গা পেয়েছেন ইনজামাম-উক-হক, মিসবাহ-উল-হক, মুশতাক মোহাম্মাদ ও সাঈদ আনোয়ার।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হল অব ফেইমে এই চার তারকার নাম প্রকাশ করে পিসিবি। এ সময় ইনজামাম-মিসবাহদের অভিনন্দন জানান বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আমি এই চার কিংবদন্তিকে পিসিবির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাকিস্তান ক্রিকেট ও বৈশ্বিক খেলাটিতে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য এই শ্রদ্ধা নিবেদন।”
২০২১ সালে চালু হওয়া এই হল অব ফেইমে এ নিয়ে সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন। হল অব ফেইমের বর্তমান সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে ১১ জনের একটি স্বতন্ত্র প্যানেলের ভোটে এই ক্লাবে জায়গা পান ইনজামাম, মিসবাহ, মুশতাক ও সাঈদ।
পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইনজামাম দেশের হয়ে ১২০ টেস্ট, ৩৭৮ ওয়ানডে ও একটি টি-টুয়েন্টি খেলেন। টেস্টে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৮৩০ রানের মালিক এই ডানহাতি ব্যাটার। সাদা পোশাকে দেশটির ইতিহাসে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২৯ রানের মালিক তিনি।
ওয়ানডেতে ১০ হাজার রান করা একমাত্র পাকিস্তানি ব্যাটার ইনজামাম। এই ফরম্যাটে ১০ সেঞ্চুরিতে তার রান ১১ হাজার ৭৩৯।
পাকিস্তানের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর দলটির নেতৃত্ব নেন। তার অধিনায়কত্বে ২০১৬ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ওঠে পাকিস্তান। দেশের জার্সিতে ৭৫ টেস্ট খেলা ডানহাতি এই ব্যাটারের রান ৫ হাজার ২২২ রান।
মিসবাহ ১৬২ ওয়ানডেতে ৫ হাজার ১২২ রান করেন কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই। এছাড়াও দেশের হয়ে ৩৯ টি-টুয়েন্টি তার রান ৭৮৮।
পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্টে ৪ হাজার ৫২ রান করেন সাঈদ। ২৪৭ ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই ব্যাটারের রান ৮ হাজার ৮২৪। ভারতের বিপক্ষে ১৯৯৭ সালে খেলেছিলেন ১৯৪ রানের ইনিংস দুর্দান্ত এক ইনিংস, যা ছিল তখনকার সময় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
১৯৫৯ সালে ১৫ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মুশতাকের। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। এই ফরম্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান ১৭ বছর বয়সে।
ডানহাতি এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। ৫৭ টেস্টে ৩ হাজার ৬৪৩ রানের পাশাপাশি লেগ স্পিনে শিকার করেন ৭৯ উইকেট। এছাড়াও ১০ ওয়ানডেতে করেন ২০৯ রান।
মন্তব্য করুন: