রাজশাহীকে গুড়িয়ে রেকর্ড গড়ে ঢাকার প্রথম জয়
১২ জানুয়ারি ২০২৫
লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম জোড়া শতকে বিপিএলের ইতিহাসের রেকর্ড সংগ্রহ গড়ে প্রথমেই ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। ফলে দেখার বিষয় ছিল ব্যাট হাতে লড়াইটা কেমন করতে পারে প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। কিন্তু লড়াই তো দূর, নূন্যতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি দুর্দান্ত রাজশাহী। রেকর্ড ১৪৯ রানের জয়ে এবারের মৌসুমে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তানজিদের ১০৮ ও লিটনের ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে টুর্নামেন্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৫৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। জবাবে ১৫ ওভার ২ বলে কেবল ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস।
সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। একই সঙ্গে রানের ব্যবধানে বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ে তারা। এতদিন এই রেকর্ডের মালিক ছিল চিটাগং কিংস। ২০১৩ সালে সিলেট রয়্যালসকে ১১৯ রানে হারিয়েছিল তারা।
শুধু সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ কিংবা বড় ব্যবধানের জয়ই নয়, বিপিএলে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও গড়েছে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন ও তানজিদ মিলে ১১৮ বলে যোগ করেন ২৪১ রান। আগের রেকর্ডটি ছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ক্রিস গেইলের। ২০১৭ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ২০১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এই দুই তারকা ব্যাটার।
স্বীকৃত টি-টুয়েন্টিতে লিটন-তানজিদের এই জুটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চীনের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচে প্রথম উইকেটে ২৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিল জাপান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর দিকে জীবন পান লিটন। তৃতীয় ওভারে তার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক আকবর আলী। এরপর আর কোনো সুযোগ দেননি লিটন। রাজশাহী বোলারদের পিটিয়ে ২৪ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। এরপর যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন এই ব্যাটার। ৪৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৮ চারে টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান লিটন, যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন।
শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজান ১০ চার ও ৯ ছক্কায়। অপরপ্রান্তে সঙ্গীর তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ৬৪ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারের ইনিংসটি থামে ১০৮ রানে।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে কেবল তাসকিনের ইকোনমি ছিল দশের নিচে। ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেয়ে ডানহাতি এই পেসার ২৯ রান দেন।
রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা রাজশাহীর হয়ে একাই লড়াইয়ের চেষ্টা চালান রায়ান বার্ল। জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রাজশাহীর চার ব্যাটার।
মন্তব্য করুন: