সিলেট পর্ব শেষে বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় যারা

১৪ জানুয়ারি ২০২৫

সিলেট পর্ব শেষে বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় যারা

ঢাকায় প্রথম পর্বের পর সিলেট পর্ব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ইতোমধ্যে ২০টি ম্যাচ হয়ে গেছে। দুই পর্বেই ছিল ব্যাটারদের দাপট। বিশেষ করে সিলেটে যেন রানের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ব্যাটাররা। টুর্নামেন্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও এসেছে এখানেই। তবে ঢাকার প্রথম পর্বের মতো এখানে বল হাতে তেমন আলো ছড়াতে পারেনি বোলাররা।

মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় এবারের আসরে সিলেট পর্বের খেলা। ২০ ম্যাচ শেষে প্রতিটি দলই কমপক্ষে ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭টি করে ম্যাচ খেলেছে রংপুর ও ঢাকা ক্যাপিটালস। সবকটি ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রংপুর। আর কেবল একটি ম্যাচ জিতে তালিকার তলানীতে আছে ঢাকা।

এবারের আসরে রান-সংগ্রাহকের দিক দিয়ে দেশি ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। এখন পর্যন্ত এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন জাকির হাসান। ৬ ইনিংসে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বাঁহাতি এই ব্যাটারের রান ২৫১। গড় ৫০ দশমিক ২০ এবং স্ট্রাইক-রেট ১৪৯ দশমিক ৪০। তিন ফিফটি হাঁকানো জাকিরের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৫ রান।

২৪৯ রান নিয়ে পরের অবস্থানে আছেন চিটাগং কিংসের উসমান খান। ৪ ইনিংসে পাকিস্তানের এই ব্যাটারের স্ট্রাইক-রেট ১৭১ দশমিক ৭২। ২ ফিফটির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন একটি সেঞ্চুরি। তালিকার শীর্ষ পাঁচে থাকা একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটারও তিনি।

তিন ও চার নম্বরে আছেন ঢাকার দুই ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তিনে থাকা তানজিদের রান ২৪৬, স্ট্রাইক-রেট ১৩৮ দশমিক ২০। তার পরের অবস্থানে থাকা লিটন ১৬৪ দশমিক ৩৫ স্ট্রাইক-রেটে করেছেন ২৪০ রান। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে এই দুই ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে বিপিএল রেকর্ড ২৫৪ রানের সংগ্রহ গড়ে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তানজিদের ১০৮ রানের সঙ্গে লিটন অপরাজিত ছিলেন ১২৫ রানে, যা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ।

পাঁচে থাকা রংপুরের সাইফ হাসানের রান ২২৮। টপ-অর্ডার এই ব্যাটারের স্ট্রাইক-রেট ১২৬ দশমিক ৬৬।

ব্যাটারদের মতো উইকেট শিকারির তালিকাতেও বেশ এগিয়ে বাংলাদেশি বোলাররা। বিশেষ করে এই তালিকার শীর্ষ তিনটি স্থানের দখলে রেখেছেন পেসাররা। ৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন তাসকিন আহমেদ। রাজশাহীর বোলিং লাইন-আপকে একাই টেনে নিয়ে যাওয়া ডানহাতি এই পেসার এক উইকেটের পেছনে খরচ করেছেন ১১ দশমিক ২৮ করে রান। এবারের আসরেই ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিপিএল সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

পরের অবস্থানে থাকা আবু হায়দার রনির শিকার ১১ উইকেট। খুলনার এই বাঁহাতি পেসার ৫ ম্যাচে ১৬ দশমিক ৯০ গড়ে এই উইকেট নিয়েছেন। তার সঙ্গে একই অবস্থানে আছেন সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব। ৬ ম্যাচে ১৯ দশমিক ৪৫ গড়ে ডানহাতি এই তরুণ পেসারেরও শিকার ১১ উইকেট।

তালিকায় পরের অবস্থানে আছেন রংপুরের দুই স্পিনার খুশদিল শাহ ও শেখ মাহেদি হাসান। দুজনেরই শিকার ৯টি করে উইকেট। তাদের সমান উইকেট নিয়েছেন একই দলের নাহিদ রানাও।

মন্তব্য করুন: