রাজশাহীকে গুঁড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে চিটাগং

২০ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহীকে গুঁড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে চিটাগং

গত ম্যাচেই ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ২০২ রান করেও জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল দুর্বার রাজশাহীকে। ম্যাচের পর অধিনায়কও পরিবর্তন করেছিল তারা। তবে ভাগ্য আর ফিরল না। এবার একশ রানও করতে পারল না দলটি। চিটাগং কিংসের কাছে তারা হেরে গেছে ১১১ রানের বিশাল ব্যবধানে।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৯১ রান করে চিটাগং। জবাবে মাত্র ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় রাজশাহী।

রানের ব্যবধানের দিক দিয়ে রাজশাহীর এই হার বিপিএলের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ডটিও তাদের। চলতি আসরেই ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রেকর্ডময় ম্যাচে তারা ১৪৯ রানে হেরেছিল।

নেতৃত্বের চাপ কমিয়ে ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে রোববার রাতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এনামুল হক বিজয়কে সরিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাসকিন আহমেদকে। বল হাতে ডানহাতি এই পেসার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বজায় রেখে শিকার করেন ২ উইকেট। অন্যদিকে ব্যাট হাতে দলীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন বিজয়।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চিটাগং দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ইন-ফর্ম উসমান খানকে (৭)। তবে দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম ইসলাম ও গ্রাহাম ক্লার্কের ৮৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় স্বাগতিকরা। ২৮ বলে ৪৫ রান করে ক্লার্ক ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন নাঈম। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ৪১ বলের ইনিংসটি থামে ৫৬ রানে।

এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ৩২ এবং হায়দার আলীর ২৫ রানের ওপর ভর করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং।

রান তাড়ায় ব্যাট হাতে গত ম্যাচের ঠিক উল্টো চিত্র দেখায় রাজশাহী। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটি ২০ রানের ভেতর হারায় তিন ব্যাটারকে। পাওয়ারপ্লেতে দলের খাতায় রান যোগ হয় ৩৮। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ রান করা আকবর আলী ও বিজয়। ২১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৪ ওভার ২ বলে।

দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও ম্যাচসেরা নাঈম।

এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে চিটাগং। ৯ ম্যাচে ৬ হারে পঞ্চমস্থানে আছে রাজশাহী। ৮ ম্যাচের সবকটিতে জিতে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স।

মন্তব্য করুন: