রংপুরকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিল রংপুর রাইডার্স। আট ম্যাচের সবকটিতে জিতে প্রথম দল হিসেবে তারা নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। ব্যাট-বলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উড়তে থাকা দলটিকে মাটিতে নামিয়ে আসরে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। তাসকিন আহমেদের দল জয় পেয়েছে ২৪ রানে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৭০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজশাহী। জবাবে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ৪ বল আগে রংপুরের ইনিংস শেষ হয় ১৪৬ রানে।
১০ ম্যাচে ৪ জয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে রাজশাহী। ৯ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীর সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৪৩ রান। তবে এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুরের বোলাররা। শেষ ৫ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে তারা তুলে নেয় ৬ উইকেট।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল রাজশাহী। সাব্বির হোসেনের ঝড়ো ইনিংসে পাওয়ারপ্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তোলে তারা। ১৯ বলে ৩৯ রান করা সাব্বিরকে সাজঘরে ফিরিয়ে রংপুরকে স্বস্তি এনে দেন খুশদিল শাহ। পরের বলেই দারুণ ছন্দে থাকা রায়ান বার্লকেও তুলে নেন পাকিস্তানের এই স্পিনার।
৭৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরতে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে হাল ধরেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তবে বিজয়ের চেয়ে আগ্রাসী ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২৭ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে তুলে নেন ফিফটি। ৬০ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৭৬ রানের জুটিটি ভাঙেন খুশদিল।
এরপরই ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইন-আপ। পরের ব্যাটারদের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
রান তাড়ায় নামা রংপুরের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন তাসকিন। এরপর চতুর্থ ওভারে জোড়া শিকার ধরেন মেহেরাব হোসেন। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান ও খুশদিল। তবে চতুর্থ উইকেটের এই জুটি থেকে ৪০ রানের বেশি আসেনি। খুশদিলের ১৪ রানের পর সাইফ ফেরেন ৪৩ রান করে।
এরপর বার্লের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় রংপুর। তবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ক্রিজে থাকা তখনও জয়ের ক্ষীণ আশা ছিল তাদের। কিন্তু ২৬ বলে ৪১ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে সেই আশা শেষ করে দেন বার্ল। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের এই স্পিনার নেন ৪ উইকেট। তাসকিনের শিকার ২ উইকেট।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: