নাঈমের শতকে রংপুরকে গুঁড়িয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

৩০ জানুয়ারি ২০২৫

নাঈমের শতকে রংপুরকে গুঁড়িয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না খুলনা টাইগার্সের। সে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নাঈম শেখের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহই গড়েছিল তারা। এরপর বোলারদের নৈপুণ্যে রান তাড়ায় তেমন সুবিধাই করতে পারল না রংপুর রাইডার্সের ব্যাটাররা। তাদের টানা চতুর্থ হারের স্বাদ দিয়ে ৪৬ রানের জয় পেয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের--বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাঈমের অপরাজিত ১১১ রানের সুবাদে উইকেটে ২২০ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে তাদের ইনিংস থামে উইকেটে ১৭৪ রানে।

১১ ম্যাচে জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরেই আছে খুলনা। তবে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সব ম্যাচ খেলে ফেলা দুর্বার রাজশাহীর চেয়ে নেট রান-রেট ভালো থাকায় শেষ ম্যাচে জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত করবে দলটি। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জেতা রংপুর হারল পরের ম্যাচেই। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নুরুল হাসান সোহানের দল আছে দুই নম্বরে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মিরাজ নাঈম। ১২ বলে ২১ রান করা মিরাজকে ফিরিয়ে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শেখ মাহেদী হাসান। বেশিক্ষণ টেকেননি অ্যালেক্স রসও (১২) রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে উইকেটে ৭৪ রান তোলে খুলনা। এরপরই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নাঈম।

তৃতীয় উইকেটে উইলিয়াম বোসিস্টোকে (৩৬) নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৮৮ রানের জুটি গড়েন নাঈম। সঙ্গীর বিদায়ের পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৫৫ বলে ৭টি করে চার ছক্কায় তুলে নেন সেঞ্চুরি। এবারের বিপিএলে সব মিলিয়ে এটি সপ্তম শতক। শেষ পর্যন্ত মাহিদুলের ১৫ বলে ২৯ রানে বড় সংগ্রহ পায় খুলনা।

রান তাড়ায় সঙ্গীদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই ওপেনার ছাড়া খুলনার বোলারদের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেনি রংপুরের কোনো ব্যাটার। নবম ব্যাটার হিসেবে ইনিংসের শেষ ওভারে তিনি আউট হন ৭৪ রানে। ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজান চার ছক্কায়।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: