নিয়ম পাল্টে বেভানকে হল অব ফেইমে জায়গা দিল অস্ট্রেলিয়া
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ওয়ানডে ক্রিকেটে ‘ফিনিশার’ শব্দটার আবির্ভাব হয়েছিল তার হাত ধরেই। লোয়ার-অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কঠিন জায়গা থেকে দলকে জিতিয়েছেন অনেক ম্যাচ। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নির্বাচন নীতিমালার কারণে জায়গা হচ্ছিল না হল অব ফেইমে। সেই নিয়ম পাল্টে ফেলার পর হল অব ফেইমে জায়গা পেয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে পরিচিত মাইকেল বেভান।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ২৩২ ওয়ানডেতে ৫৩ দশমিক ৫৮ গড়ে ৬ হাজার ৯১২ রান করেছেন বেভান। বিশেষ করে রান তাড়ার ক্ষেত্রে তার অসাধারণ ব্যাটিং তার দক্ষতা দলকে বহুবার জয় এনে দিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার শেষ বলে চার মেরে এক উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দেওয়ার মুহূর্তটি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা।
বেভানের আরও কিছু স্মরণীয় ইনিংসের মধ্যে রয়েছে ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ৯৫ বলে ১০২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গেছিল। এছাড়াও ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁহাতি এই ব্যাটারের অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসও বেশ আলোচিত।
তবে দুটি বিশ্বকাপজয়ী এই ব্যাটার ১৫ বছর ধরে হল অব ফেইমে অন্তর্ভুক্তির জন্য যোগ্য ছিলেন না। কারণ সমৃদ্ধ ওয়ানডে ক্যারিয়ার থাকা বেভানের টেস্ট ক্যারিয়ারছিল মাত্র ১৮ ম্যাচের। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে মেলেও ধরতে পারেননি তিনি। ৩০ ইনিংসে তার রান ৭৮৫। নেই কোনো সেঞ্চুরি।
সিএ-র নিয়ম অনুযায়ী সমৃদ্ধ টেস্ট ক্যারিয়ার ছাড়া হল অব ফেইমের সম্মাননা কোনো ক্রিকেটারকে দেওয়া হয় না। তবে বেভানের জন্য গত মাসে এই নিয়মের পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান হল অব ফেইমের চেয়ারম্যান পিটার কিং।
“মাইকেলের অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং জনপ্রিয়তাই আমাদের নির্বাচনী নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে। নতুন নিয়ম অনুসারে এখন একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটেও যারা সফল হয়েছেন, তাদেরও টেস্ট খেলোয়াড়দের সমানভাবে মূল্যায়ন করা হবে। মাইকেল নিঃসন্দেহে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিপ্লব এনেছেন। তার ব্যাটিং দক্ষতা, অ্যাথলেটিসিজম ও ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাকে ঘরে ঘরে পরিচিত করেছে।”
বেভানের আগে এই মৌসুমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেইমে জায়গা পান ২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এবং নারী দলের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটর ক্রিস্টিনা ম্যাথিউস। ১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া হল অব ফেইমে এই নিয়ে সদস্য সংখ্যা হলো ৬৬টি।
মন্তব্য করুন: