তারকায় ঠাসা রংপুরকে বিদায় করে পরের ধাপে খুলনা

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তারকায় ঠাসা রংপুরকে বিদায় করে পরের ধাপে খুলনা

চলতি বিপিএলে শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। সবার আগে প্লে-অফও নিশ্চিত করেছিল তারা। কিন্তু এরপরই খেই হারিয়ে রংপুর রাইডার্সের জায়গা হলো এলিমিনেটরে। শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে আন্দ্রে রাসেল-টিম ডেভিডদের উড়িয়ে এনেছিল দলটি। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তারা দাঁড়াতেই পারল না খুলনা টাইগার্সের সামনে। ৯ উইকেটের জয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিরাজ-নাসুম আহমেদদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে রংপুর গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৫ রানে। জবাবে শুরুতে অধিনায়কের উইকেট হারালেও নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রসের ব্যাটে ৫৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় খুলনা।

নিজেদের প্রথম আট ম্যাচের সবকটিতে জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর। তবে পরের চার ম্যাচ হেরে তিন নম্বরে থেকে লিগ পর্ব শেষ করে তারা। শক্তি বাড়াতে প্লে-অফের লড়াইয়ে রাসেল, ডেভিড ও ইংল্যান্ডের জেমস ভিন্সকে দলে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কিন্তু টি-টুয়েন্টির জন্য পরিচিত এই তিন তারকা ব্যাট হাতে দলকে পুরো হতাশ করেছেন। তিনজন মিলে ২৫ বল খেলে মাত্র ১২ রান করেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ভিন্সের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনো বল খেলার আগে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। পরের ওভারে দারুণ এক ফিরতি ক্যাচে ৭ বলে ১ রান করা ভিন্সকে তুলে নেন নাসুম। এরপর থেকেই ধসের শুরু।

খুলনার বোলারদের নৈপুণ্যে পাওয়ারপ্লেতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। প্রথম ৬ ওভারে রান তুলতে পারে ১৯। এরপর ডেভিড (৭) ও রাসেল (৪) অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গ দিলেও দলের কাজে আসেননি। দুই ব্যাটারই খেলেন ৯ বল করে। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখতে থাকা সোহান (২৩) নবম ব্যাটার হিসেবে যখন সাজঘরে ফেরেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ৫২ রান।

দশম উইকেটে নাহিদ রানাকে নিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছড়িয়ে দলের সংগ্রহ কিছুটা বাড়ান আকিফ জাভেদ। দশ নম্বরে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার। তাকে ফিরিয়ে ১৬ ওভার ৫ বলে রংপুরের ইনিংসের ইতি টানেন মুশফিক হাসান।

মিরাজ ও নাসুমের শিকার ৩টি করে উইকেট।

রান তাড়ায় তৃতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন মিরাজ। বল হাতে রংপুরের সাফল্য কেবল সেটিই। এরপর রসকে (২৯*) নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার ২ বলে দলকে লক্ষ্য নিয়ে যান নাঈম। ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনার প্রতিপক্ষ হবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের মধ্যকার ম্যাচে জয়ী দল।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: