স্মিথ অথবা হেডের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে অস্ট্রেলিয়া

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্মিথ অথবা হেডের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে অস্ট্রেলিয়া

গোঁড়ালির সমস্যা থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি প্যাট কামিন্স। ফলে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়কের আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা একদমই নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডস। এমন অবস্থায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে স্টিভ স্মিথ অথবা ট্র্যাভিস হেডের নেতৃত্বে ছয়বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের দলে আগে থেকেই নেই কামিন্স। তবে গত মাসের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে শেষ হওয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকেই গোঁড়ালির সমস্যায় ভুগছিলেন ডানহাতি এই পেসার। কিন্তু তাকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুটি ওয়ানডে এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলের সদস্যদের। তবে বুধবার সকালে কামিন্সকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদটি দেন ম্যাকডোনাল্ডস। অস্ট্রেলিয়ার এসইএন রেডিওকে প্রধান কোচ জানান, চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় দলের সঙ্গে কামিন্সের শ্রীলঙ্কায় আসার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়াও শঙ্কা আছে আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউডের খেলা নিয়েও।

“প্যাট কামিন্স এখনও কোনো ধরনের বোলিং শুরু করতে পারেনি, তাই তার খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। এর মানে, আমাদের একজন অধিনায়কের প্রয়োজন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিকল্পনা নিয়ে দেশে প্যাটে সঙ্গে যখন আলোচনা হয়েছে আমাদের, স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের নামই এসেছে বিবেচনায়। নেতৃত্বের জন্য ওদের দুজনের দিকেই তাকাব আমরা।”

“তাদের দুজনের নাম আসলে অবধারিতভাবেই আসার কথা। স্টিভ এখানে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। ক্যারিয়ারজুড়ে ওয়ানডেতে আগেও দারুণ কাজ করেছে সে। তাদের দুজনের মধ্যেই বেছে নেওয়া হবে।

মাংশপেশির চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তিন টেস্টে খেলতে পারেননি হ্যাজেলউড। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকায় ডানহাতি এই পেসার নেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার অংশগ্রহণের বিষয়ে আরও কয়েকদিন সময় নেবেন ম্যাকডোনাল্ড।

“প্যাটির (কামিন্স) খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে এবং তা খুবই হতাশাজনক। জশ হ্যাজেলউডের ব্যাপারটিও আছে। সে ফিট হয়ে উঠতে লড়ছে। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে মেডিকেল তথ্যগুলো আসবে। আমরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব এবং সবাইকে জানতে পারব যে, কোন পথে এগোচ্ছি।

শেষ পর্যন্ত কামিন্স খেলতে না পারলে তার জায়গায় দলে আসতে পারেন আরেক পেসার শন অ্যাবট। অন্যদিকে হ্যাজেলউড সময়মতো ফিট হয়ে না উঠলে জায়গা পেতে পারেন বাঁহাতি পেসার স্পেন্সার জনসন।

অন্যদিকে চোটের কারণে আগেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে যাওয়া মিচেল মার্শের বদলি হিসেবে দলে জায়গা পেতে পারেন আরেক অলরাউন্ডার বোউ ওয়েবস্টার।

মন্তব্য করুন: